চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
শাহীন কলেজের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (০৯ অক্টোবর) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
শাহীন কলেজের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে, রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সমীর মজুমদার।
এ আগে পাঁচজন অভিভাবকের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বিএএফ শাহীন কলেজে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি হাইকোর্ট রুলও জারি করেন। রুলে অতিরিক্ত ফি আদায় কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না, অতিরিক্ত ফি আদায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অতিরিক্ত হারে আদায়কৃত অর্থ কেন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ, শাহীন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ ১৩জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের পর আবেদনকারী অভিভাবকদের আইনজীবী সমীর মজুমদার জানিয়েছিলেন, কলেজটিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে (বাংলা ভার্সন) টিউশন ফি ৯৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৮০ টাকা করে ব্যাংকের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে। হিসেবে করে দেখা গেছে বৃদ্ধির হার ৬১ শতাংশ। সেশন ফি ২২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়, যেখানে বৃদ্ধির হার ১২৫ শতাংশ। ইংরেজি মাধ্যমে টিউশন ফি ১৩২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১১৫ টাকা করা হয়, যাতে বৃদ্ধির হার ৬০শতাংশ। এভাবে সব ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, বেতন বাড়াতে হলে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ বাড়ানো যাবে। কিন্তু এই কলেজে বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা মানা হয়নি।
