
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আরেক আসামি নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই নৃংশসতম ওই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সবাই এসময় উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও ঘোষণা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশিদ ও শরিফুল ইসলাম। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯-এর ৬(২) (অ) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বিচারক রায় ঘোষণার সময় বলেন, আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তামিম। এই রায়ে ন্যায় বিচারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে ৫২ কার্য দিবসে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা, রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক, পক্ষ-বিপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১৭ নভেম্বর আদালত জানান, ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে।