
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘ ২২টি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি স্থানীয় জেলা পরিষদগুলোতে হস্তান্তর করা হয়নি মন্তব্য করে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেএসএস এর সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়টি খুবই জটিল। পাহাড়ে ভূমি বিরোধের সাথে আরো অনেক অনেক বিষয় জড়িত আছে তারমধ্যে এখানকার সাধারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়ন সর্বোপরি পাহাড়ের মানুষদের জীবনধারা এসব কিছুই জড়িয়ে আছে।
বিগত ২২ বছরেও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে ভূমি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি হস্তান্তর না হওয়ায় অনেক জটিলতা থেকেই গেছে। এই জটিলতার মধ্যেও বাস্তবতার আলোকে এবং আইনগতভাবে সংশ্লিষ্ট্য বিষয়গুলোর সমাধান যাতে ভূমি কমিশন সুন্দরভাবে করতে পারে সেই বিষয়ে চেষ্ঠা চালাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সন্তু লারমা।
আজ বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের ৬ষ্ঠতম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেছেন সন্তু লারমা।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান ভূমির সমস্যা নিরসনে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন শীঘ্রই কাজ শুরু করবে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই রাঙামাটি জেলা পরিষদের নবনির্মিত ভবনে ভূমি কমিশনের শাখা অফিস নিয়েছি। এই অফিসের মাধ্যমে শীঘ্রই ভূমি বিরোধের অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করবে ভূমি কমিশন।
আগামী ২৩শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকে উক্ত বাছাইকৃত আপত্তিগুলোর শুনানীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান।
রাঙামাটি সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পার্বত্য বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা থেকে কেউই অংশগ্রহণ করেননি। এর আগে চলতি বছরের গত ১২ই সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সার্কিট হাউসে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের বর্তমান কমিটির ৫ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।