ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন-২০১৯ সম্পন্ন হয়েছে।নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান/অনারারী ট্রেজারার পদে অধ্যাপক এম.এ. তাহের খান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

উক্ত  ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বার পদে মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ নির্বাচিত হয়েছেন। দুইজন প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় লটারীর মাধ্যমে মেম্বার পদে ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষক প্রতিনিধি পদে অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও অধ্যাপক সিরাজুন নুর এবং অভিভাবক প্রতিনিধি পদে যথাক্রমে আনোয়ার হোছাইন, এ.এইচ. এম.কফিল উদ্দীন এবং মিঃ রনজ্ন কুমার নাথ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানাগেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মা-শিশু হাসপাতালের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রদান করেন। নির্বাচিতরা আগামী দুইবছর কলেজ পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করবেন। ।

.

এদিকে নির্বাচনে সদস্য পদে সবচেয়ে কম ভোট পেয়ে হেরে গেলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক  বহুল বিতর্কিত চিকিৎসক নেতা ডাক্তার ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী। নির্বাচনে সদস্য পদে মাত্র ১০ ভোট পান  ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী।

এছাড়া নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বিএমএ’র আরেক নেতা চট্টগ্রামের ট্রেজারার ও সাবেকমন্ত্রী আফসারুল আমীনের ভাই ডা. আরিফুল আমীন। তিনি পেয়েছেন ১২ ভোট।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক সালামত উল্লাহ ভুঁইয়া তাঁর টাঙানো নির্বাচনী ফলাফলের তালিকা থেকে এ তথ্য জানাগেছে। তার মতে, নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রকৌশলী আলী আশরাফ, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর ও আনোয়ার হোসাইন। এবারের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন প্রফেসর ডা. তাহের খান।

নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর এস.এম. সালামত উল্যা ভূঁইয়া।

.

উল্লেখ্য-প্রায় দেড় বছর আগে সাংবাদিক রুবেল খানের শিশু কন্যা রাইফাকে ভুল চিকিৎসায় হত্যার অভিযোগে পুলিশ এক চিকিৎসককে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করলে চকবাজার থানায় ঢুকে ওসি আবুল কালামকে প্রকাশ্য হুমকি দেন বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়সাল। এতে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা তার বিচার চেয়ে ও অভিযুক্ত ম্যাক্স হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এ নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি হয়। বহুল বিতর্কিত এই নেতা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সংসদীয় আসনের এমপি, বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে বিগত জাতীয় নির্বাচনে শোডাউনে গেলে আরেক দফা বিতর্কিত হন।

সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে গেলে তাকে ঠেকাতে ব্যর্থ অপচেষ্টাও করে এই চিকিৎসক নেতা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপির বিরুদ্ধেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কিত হন চিকিৎসক নেতা ফয়সাল।

জানাগেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফয়সাল ইকবালের খোদ নিজ দলের এমপি-মন্ত্রী সহ দায়িত্বশীলদের সাথে এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দলের অভ্যন্তরেও ব্যাপক ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি করে। তবে মা ও শিশু হাসপাতালের এই নির্বাচনে তার পরাজয়কে সাংবাদিকরা অনেকেই বলছেন তাদের শিশুকন্যার রাইফার ‘আত্মার অভিশাপ’।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডি’র নির্বাচনে সদস্য পদে তাই এই চিকিৎসক নেতার প্রতিদ্বন্ধিতাকে ঘিরে গণমাধ্যমের দৃষ্টি ছিল বিশেষভাবেই।‌ অঘটন শংকায় সতর্ক ছিল প্রশাসনও।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print