ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যােলয় ছাত্রী শারমিনের মৃত্যু: বয়ফ্রেন্ড সৈকত আটক

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বয়ফ্রেন্ড সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, আটক সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

এর আগে রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিনের মা নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না। আমি আমার মেয়েকে ভালো করেই চিনতাম। সে আত্মহত্যাকে ঘৃণা করত। সব সময় হাসিখুশি থাকতে পছন্দ করত। মানুষের সঙ্গে খুব মিশত।’ গত বুধবার সন্ধ্যায় সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে শারমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

শারমিনের মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা, পুলিশ এখনো এর কোনো কিনারা করতে পারেনি। তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না।

শারমিনদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বিজয় নগর গ্রামে। বাবা রুক্কন উদ্দিন। তিনি পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে হবিগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত। তাঁর পরিবার অনেক দিন ধরে রাজধানীতে বাস করে আসছে। শারমিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনস উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়িতে শারমিনের দাফন হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, বাড়ির সামনে পাকা আঙিনা। ওই আঙিনা ঘেঁষে মূল ঘরের ঠিক সামনে পারিবারিক কবরস্থান। সেখানেই শারমিনকে দাফন করা হয়েছে। গ্রামের নারীরা দলে দলে এসে শারমিনের কবর দেখছেন। বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে বসে আছেন বাবা রুক্কন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘তাঁদের জানামতে, শারমিনের আত্মহত্যা করার মতো কোনো কারণ ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে পড়তেন (গ্রুপ স্টাডি)। এ নিয়ে কারও সঙ্গে তাঁর বিরোধ থাকতে পারে। তাঁর জীবনে আর কোনো সমস্যা ছিল বলে জানা নেই।’

রুক্কন উদ্দিন বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় বাসার নিচে এসে চাচাতো ভাই শুভর কাছে মুঠোফোন আর ব্যাগ রেখে স্যান্ডেল বদল করে বের হন শারমিন। বের হওয়ার সময় বাসায় থাকা মাকে মুঠোফোনে তিনি জানান, জরুরি একটা কাজে বের হচ্ছেন। কাজ শেষ করেই ফিরে আসবেন। এরপর থেকে শারমিন নিখোঁজ ছিলেন। দীর্ঘ সময় মায়ের কাছে মুঠোফোনটি থাকলেও ফোনে কল এসেছিল কি না, এটি তাঁর মা লক্ষ করেননি। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে দুটি ফোন আসে। দুটি ফোনই করেন সহপাঠীরা।

রুক্কন উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে শারমিনের একটি মুঠোফোন ছিনতাই হয়। এরপর তিনি মেয়েকে বলেছিলেন, রাতে কোনো কাজে বাড়ির বাইরে গেলে মুঠোফোন যেন সঙ্গে না নেন। বুধবার বাড়িতে মুঠোফোন রেখে যাওয়ার এটাই ছিল কারণ। তিনি আফসোস করে বলেন, ‘সারা জীবন ঢাকাতেই চাকরি করেছি। মেয়েকে আমিই দেখে রাখতাম। দুই বছর আগে পদোন্নতি হওয়ার পর প্রথমবার ঢাকার বাইরে যাই। ঢাকায় থাকলে হয়তো মেয়েকে রক্ষা করতে পারতাম।’

রুক্কন উদ্দিন বলেন, ‘যদি সে (শারমিন) আত্মহত্যা করত, তাহলে নিজের বাসায় থেকেই করতে পারত। বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে করতে হতো না। শুনেছি যে বাড়ির ছাদের নিচে শারমিনের লাশ পাওয়া গেছে, সেই বাড়িতে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র থাকেন। তাঁরা এখন নাকি পলাতক।’

শারমিনের মা নাহিদা আক্তার মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে তিনি পানি পর্যন্ত খাচ্ছেন না। ঘুমের ওষুধ দিয়েও তাঁকে ঘুম পাড়াতে পারছেন না স্বজনেরা। দুপুরে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক এসে শারীরে স্যালাইন দেবেন। নাহিদার কান্না থামছেই না। তিনি কাঁদতে কাঁদতে অস্পষ্ট স্বরে বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতেই পারে না।’

বাড়িতে থাকা সংবাদপত্রে মেয়ের ছবি দেখে আবারও কেঁদে ওঠেন নাহিদা। ঘটনার দুদিন আগে শারমিন তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর (শারমিন) খুব মন খারাপ। কারণ, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁদের সেকশন পরিবর্তন হওয়ায় প্রিয় সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসে বসতে পারছেন না।

মায়ের দাবি, এটি হত্যাকাণ্ড। মেয়েকে আর ফেরত পাওয়া যাবে না। তবে সরকার যদি এ মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে, তাহলে তিনি খুশি হবেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print