ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রসিকতা মানসিক বিকারগস্ততার লক্ষণ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এই মুহূর্তে কারামুক্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জীবনহানির ঝুঁকি রয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার অবস্থা এখন আশংকাজনক। শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীরা বেগম খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারিরীক অবস্থা নিয়ে রীতিমত রসিকতা করছেন। এই রসিকতা এক মানসিক বিকারগ্রস্ততার লক্ষণ।

তিনি আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খানের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

.

তিনি বলেন, বেগম জিয়ার জামিন যেন না হয় সে জন্য সরকার প্রধান নিজেই প্রকাশ্যে সমাবেশে রায় ঘোষণা করেছেন। এটা মিডনাইট সরকারের ভয়ংকর অশুভ ষড়যন্ত্রেরই অংশ। দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশংকায় দিনাতিপাত করছে। যে কোন মুহুর্তে নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমে নিজেদের তাজা রক্তের বিনিময়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রস্তুত।

ডা. শাহাদাত আরো বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে দেশনেত্রীর ভাই-বোন-স্বজনরা সাক্ষাৎ করার আবেদন করলেও কারাকর্তৃপক্ষ শেখ হাসিনার নির্দেশে অনুমতি দিচ্ছেন না। গত ১ মাস দেশনেত্রীর সঙ্গে তার স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ফলে দেশনেত্রীকে নিয়ে আমরা চরম উৎকন্ঠায় আছি। একজন বন্দীর সাথে স্বজনদের দেখা করতে না দেয়া এক চরম মানসিক নিপীড়ণ। পৃথিবীর কোন নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দীদের সাথে এরূপ দুর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ওপর।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার সব কিছুই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ভিন্ন একটা রাজনৈতিক দল কীভাবে চলবে এটাও তারা নিয়ন্ত্রণ করতেছে। অথচ সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে সকল দলকে সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করার অধিকার দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। আমরা চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে সভা-সমাবেশ করতে চাইলে সরকার অনুমতি দিতে টালবাহানা করে। অথচ আওয়ামীলীগসহ ছোট খাটো দলগুলোকে সমাবেশ করতে দিলেও আমাদের দিচ্ছে না। এ ধরণের দাম্ভিকতা চিরকাল থাকবে না। কারণ আওয়ামীলীগের কাছে গণতান্ত্রিক চেতনা বলতে কিছুই নেই। তারা নিজেদের রাজা বাদশা ভাবতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু।

বক্তব্য রাখেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print