ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বন্যহাতি আতঙ্কে বোয়ালখালীর কয়েক গ্রামের মানুষের ঘুম হারাম (ভিডিও)

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ফের বন্যহাতির উৎপাতে বোয়ালখালী উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে ফসলী জমি ও বসত ভিটা।

২০ দিন আগে উপজেলার কদুরখীল, সৈয়দনগর, শ্রীপুর এলাকার ৩ জনের প্রাণহানি হয়েছিল এবং নষ্ট করেছিল ফসল, গাছপালাসহ ঘরবাড়ি।

আবারো বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর ও পূর্ব খরন্দ্বীপ এলাকায় বন্যহাতি লোকালয়ে প্রতিরাতে। জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে তাই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে এলাকার নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ শিশুরা ।

.

গতকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে পাহাড় থেকে ২টা বন্যহাতি এসেছে বলে জানান, শ্রীপুর ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা এলাকার চৌধুরী পাড়া ও সরকার পাড়ার লোকজন। তারা জানান, আগে যখন এসেছিল তখন ৯টি বন্যহাতির দল ছিল। এখন মামুরা (হাতিরা) প্রতিরাতে কখনো ৩টা কখনো ৪টা আজ সকালে ২টার যার মধ্যে ১টা দুই দাঁত যুক্ত বড় হাতি। প্রতি রাতে আমরা মামুদের(হাতিদের) পাহাড়ে তুলে দেওয়ার জন্য বাঁশি, ঢোল,কাশা, ঘন্টা বাজিয়ে তাড়িয়ে পাহাড়ে তুলে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী নিলু দে জানান, আজকে আনুমানিক দুপুর ২টার সময় আমাদের জমিনের ধান ক্ষেতে ২টা হাতি দেখতে পায়,তখন এলাকাবাসী সবই একত্রিত্ব হয়ে ঢোল আর ঘন্টা বাঁজিয়ে সামনের দিখে গেলে মামু (হাতি)গুলো দৌড়তে থাকে। কিন্তু পাহাড়ের নিচে সমতল জঙ্গলে ঢুকে পড়লে আমরা জমিনে এসে বসে থাকি। কিছুক্ষণ পর পর তাদের বিকট শব্দ শুনতে পায়। এই মামুগলো আমার ২ বিঘা জমির সব ধান খেয়ে ফেলেছে।

.

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক উজ্জ্বল দে জানান, প্রতিদিন আমরা বন্যহাতি আতঙ্কে ভুগছি। আমি জমিতে চাষ করতে আসলে, আমার স্ত্রী আমার সাথে জমিনে বসে থাকে আর আমাকে পাহাড়া দেয়,যেন বন্যহাতি আসলে আমি সজাগ থাকি। আসলে আমরা অনেক কষ্টে আছি, মামুরা(হাতিরা) প্রতিদিন নামছে আর আমরা ঢোল,ঘন্টা বাঁজিয়ে তাদের আবার পাহাড়ে পাঠাই। আমরা গরীব মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের ফসলগুলো এমনিতে আগে নষ্ট করেছে বাকি যা আছে তা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিভাবে পরিবার নিয়ে চলবো? তাছাড়া মামুদের (হাতিদের)  বসবাসের স্থানে একশ্রেণীর লোকজন লেবুসহ বিভিন্ন চাষ করছে, ফলে মামুরা(হাতিরা) থাকতে পারছে না কারণ তারা খাওয়ার সংকটে আছে, পাহাড়ের বন জঙ্গল কেটে ফেলেছে বিধায় মামুরা(হাতিরা) এখানে চলে এসেছে। আর পাহাড়ে আগুন দিয়ে পরিস্কার করায় মামুরা লোকালয়ে চলে আসে। প্রতিরাতেই নামছে বন্যহাতির দল। বর্তমানে আমরা আতঙ্কের মধ্যে জীবন যাপন করছি।

প্রত্যক্ষদর্শী বিসু দে জানান, গতরাতে সরকার বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর করেছে মামু(হাতিরা)। আমার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খুব ভয়ে রাত যাপন করেছে। এই পাড়ার নারী পুরুষ,শিশু বৃদ্ধরা ঘর ছেড়ে বাহিরে থাকতে হয়েছে।

.

স্থানীয় আরো কিছু লোকজনের সাথে কথা বললে তারা একই ভাবে জানান, আমরা বন্যহাতির আক্রমনের ভয়ে ভুগছি। প্রসাশনিক বা বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্তৃক কোন ভুমিকা দেখছি না। আমরা যদি সারা রাত জেগে হাতি পাহারা দিই তাহলে সকালে বা দিনে আমরা আমাদের কর্মগুলো কিভাবে করবো? তাছাড়া আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া জিনিসগুলোর তো কোন ক্ষতিপূরণ করেনি সরকারীভাবে। তাই এলাকাবাসী এই হাতি আতঙ্ক থেকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,বনবিভাগসহ সকল সরকারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তারা যেন এই হাতিগুলোকে গহীন জঙ্গলে পূর্নবাসন করে দেন। তাহলে আমরা কিছুটা স্বস্তি পাবো।

এর আগে গত মাসের ২৪ তারিখ কদুরখীল সৈয়দনগর ও জৈষ্ঠপুরা এলাকায় হাতির পালের আক্রমনে এক স্কুল শিক্ষকসহ ৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print