
বাংলাদেশ নোৗবাহিনীর জন্য গণচীনে নির্মিত দুটি ফ্রিগেট। ওমর ফারুক ও আবু উবাইদাহ ফ্রিগেট দুটি আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চীনের সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপইয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী রীতিতে জাহাজ দুইটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফ্রিগেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী । এসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল) রিয়ার এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল এবং চীনের নৌবাহিনীর ইষ্টার্ণ ফ্লিটের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট রিয়ার এডমিরাল বাই ইয়াওপিং (Rear Admiral Bai Yaoping) সহ দুই দেশের নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নৌবাহিনী সুত্রে জানাগেছে, নতুন এ যুদ্ধজাহাজ দু‘টি নৌবহরে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।

নৌ বাহিনী জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তোলার লালিত স্বপ্ন ও বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহ ও নির্দেশনায় নৌবাহিনী আজ আধুনিক, ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে বিশ্ব দরবারে আত্মপ্রকাশ করেছে। নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবেই এই দু‘টি যুদ্ধজাহাজ সংযোজিত হতে যাচ্ছে।
নৌ বাহিনীর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ দু‘টির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১১২ মিটার এবং প্রস্থ ১২.৪ মিটার যা ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম। প্রতিটি জাহাজ বিভিন্ন আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামে সুসজ্জিত। এছাড়া, অন্যান্য আধুনিক সমরাস্ত্রের পাশাপাশি জাহাজে রয়েছে সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতা, সন্ত্রাস ও জলদস্যু দমন এবং চোরাচালান বিরোধী নানাবিধ অপারেশন পরিচালনার সক্ষমতা। জাহাজ দু‘টি দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দূর্যোগকালীন জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা, অবৈধ মৎস্য নিধন, সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধ, জলদস্যুতা দমন, জেলেদের নিরাপত্তা বিধানসহ বর্তমান সরকারের ব¬ু-ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যুদ্ধজাহাজ দু’টি আগামী মাসে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা যায়।