
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ভোটারবিহীন সরকার এখন জনগণের নাভিশ্বাস, জনগণ এখন তার স্বাভাবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার জন্য দরকার দুর্বার গণআন্দোলন। সেই আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন সকলের কঠিন ঐক্য, দক্ষ, সাংগঠনিক সাহসী ও জানবাজ কর্মী।
তিনি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব হলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ও মহানগর ছাত্রদল আলা উদ্দিন সুমনের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

নোমান বলেন-যারা এই ফ্যাসিষ্টদের কাছ থেকে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারে। আজ সেই কর্মীর খুবই অভাববোধ করছি। যার স্মরণ সভায় উপস্থিত হয়েছি সেই প্রয়াত মহনগর ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর কাছে সেই গুণটি দেখা যেত। মহানগর ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন সুমনের মত সাহসী হতে পারলেই আন্দোলনে ভাল ভূমিকা রাখা সম্ভব। এখনই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরকে সেই ভূমিকাই অবতীর্ণ হতে হবে। তাদের মোহাম্মদ আলী মত সাংগঠনিক দক্ষতা ও সাহসিকতায় এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আন্দোলনে সফলতা আসবে।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা সাবেক এমপি, রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আওয়ামীলীগ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বার বার। তারা কখনো জনগণের ভোটের উপর আস্থা রাখতে পারেনি। তাই সুষ্ঠু একটি নির্বাচন তাদের কাছে আতংকের কারণ হয়ে দাড়ায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোন অপরাধ না করেও আজ জেলে বন্দি। কারণ তিনি যতবার জনগণের কাছে ভোটের জন্য গিয়েছেন ততবারাই জনগণ তাকে বিজয় দিয়েছেন। আর তা অন্যদের কাছে অসম্ভব। তাই তারা মনে করছে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখতে পারলেই জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখা যাবে।
মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাাদাত হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের সংকটে ও জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। নব্বই’র স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশের জনগণকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিল। সেই আন্দোলনে চট্টগ্রামে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর ভূমিকা ছিল অন্যতম। তিনি দলের নেতাকর্মীদের কাছে একজন দক্ষ, সাংগঠনিক ও সাহসী নেতা হিসেবে স্বীকৃত ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিগত আন্দোলন গুলিতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা আলাউদ্দিন সুমনের সাহসিকতা আমার নিজের চোখে দেখা। ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীদেরকে মোহাম্মদ আলীদের মত দক্ষ সংগঠক ও সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের জনগণের ভোটাধিকার ও দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আবদুল মান্নান, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুস সাত্তার, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজিমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ রাসেল, মহানগর ছাত্রদল নেতা মহসিন কবীর আপেল, আলিফ উদ্দিন রুবেল, আসিফ উদ্দিন চৌধুরী লিমন, জাফরুল হাসান রানা, সামিয়াত আমিন চৌধুরী জিসান, মিঠু, সৌরভ প্রিয় পাল, মো. রাশেদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।