
আলমগীর মানিক,রাঙামাটিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠককে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য শহর রাঙামাটি। আজ রাঙামাটিতে কমিশনের নতুন কার্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দিতে এসে বিক্ষুব্ধ বাঙ্গালীদের আন্দোলনের মুখে অন্তত এক ঘন্টা সময় কমিশন চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাসহ সংশ্লিষ্ট্যরা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আন্দোলনকারিরা রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এসময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সকল বাঙালী সংগঠনের সমন্বয়ে আন্দোলনকারি পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কার্যক্রমকে বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে বলেছেন, বহুল বিতর্কিত এই ভূমি কমিশনে বাঙ্গালীদের কোনো প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়নি। যার ফলে এই কমিশনের কার্যত্রমে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

এদিকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীদের দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ কর্র্মসূচীতে আটকে থাকা অবস্থায়ই আন্দোলনকারিদের সাথে যোগাযোগ করেছেন পার্বত্য ভূমি কমিশন কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনকারিদের নেতা মোহাম্মদ সোলায়মান মাইকে এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, ভূমি কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে বৈঠকে বসার আহবান জানানো হয়েছে। ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো লিখিত আকারে চেয়েছেন। আমরা সেগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করবো। অতি স্বল্প সময়ে মধ্যে দাবিগুলো মানতে হবে জানিয়ে আন্দোলনকারিরা জানান, অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনটি সংশোধন করা নাহলে আগামীতে পাহাড়ের যে খানেই ভূমি কমিশন বৈঠকের আয়োজন করবে সেখানে তাৎক্ষনিক গণপ্রতিরোধ সৃষ্টি করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বেলা সাড়ে এগারোটার সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে ভূমি কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, বোমাং সার্কেল রাজা উ চ প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা এসময় বৈঠকে অংশ নেন।