বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয় তাহলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট কারচুপির নির্বাচন হলে জনগণ মেনে নেবে না। যারা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করবে তাদের পরিণতি ইতিহাস নির্ধারণ করবে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ভোট চুরি করেছিল, এবারের নির্বাচনে সেটা সম্ভব হবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। যদি উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। তিনি ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে নির্বাচিত করার আহবান জানান।
তিনি আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বহদ্দার হাট মোড়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। আইনশৃংখলা বাহিনী মানুষকে হয়রানী না করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করবেন বলে আমরা আশাকরি। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। এ অবস্থায় জোর করে ভোট কেড়ে নিয়ে তথাকথিত নির্বাচিত হওয়ার চেয়ে সমান সমান প্রতিদ্বন্ধিতা করে নির্বাচিত হওয়া অনেক সম্মানের। মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানী না করে জনগণের কাতারে আসুন, জনগণকে মোকাবেলা করুন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আজকে একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণ ভোট দিতে পারবে কি না শংকায় থাকতে হয়। এটা অত্যন্ত দু:খজনক। জনগণ কেন বার বার ভোট দিতে পারবে না? আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব, এই প্রত্যয় নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমরা ভোট দেব। কাউকে ভোটাধিকার হরণ করতে দেব না। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি কোন অপশক্তি আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
তিনি বলেন, ১৩ জানুয়ারী শুধু ভোটের ব্যাপার নয়। মানুষের নাগরিক অধিকার, ভোটের অধিকার যদি কেউ নস্যাৎ করতে চাই তাহলে জনগণ তা রুখে দিতে প্রস্তুত। বিএনপির উপর বার বার আঘাত এসেছে কিন্তু বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়নি। বিএনপি এদেশের গণমানুষের দল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে তারা মনে করেছে সকল নির্বাচন দখল করে নেবে। কিন্তু নির্বাচন দখল করলেও জনগণের অন্তর দখল করতে পারবে না। জনগণের অন্তরে বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি ও ধানের শীষ। ১৩ জানুয়ারী আমরা বিজয়ের মালা পড়ে অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে তরান্বিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। ইনশাআল্লাহ।
কার্যালয় উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের বাড়াইপাড়া, ওমর আলী মাতব্বর মহল্লা রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। এ সময় সাধারণ মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে সমর্থন জানান।
উদ্বোধনকালে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল হান্নান জিলানী।
কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গির আলম, মো. বখতেয়ার, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহ শ্রম সম্পাদক আবু মুসা, নগর ওলামা দলের সভাপতি শহিদুল্লাহ চিশতী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান জিলানী, মহিলা দল নেত্রী শাহেদা বেগম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, আফরোজা বেগম জুলি, বিএনপি নেতা এডভোকেট মুজিবুর রহমান, নুরুল আলম, মো. আসলাম, আফিল উদ্দিন, হাসান ওসমান চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, আবুল বশর, নগর যুবদলের সহসভাপতি এস এম রব, এম এ রাজ্জাক, ম. হামিদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, রাজন খান, মো. আলী সাকি, গোলজার হোসেন, মনসুরুল করিম, মো. দিদার প্রমুখ।
