
আগামী মার্চে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।
তিনি বলেন, গতবার ঢাকার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এবার মেয়াদ শেষ না হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন পিঁছিয়েছে। তাই মার্চে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটার হওয়ার জন্য জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক। এটা মূলত ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা ওয়ার্ড অফিস থেকে নিতে হয়। রোহিঙ্গা হওয়া সত্বেও অনেকে সনদ পেয়েছেন। এ কাজে কিছু জনপ্রতিনিধি জড়িত।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অনেক জনপ্রতিনিধি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের সনদ দিয়েছেন বলে জানান সিইসি কেএম নুরুল হুদা।
রোহিঙ্গারা কীভাবে ভোটার হচ্ছে জানতে চাইলে সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার করার ঘটনায় এ পর্যন্ত গ্রেফতারকৃদের মধ্যে বেশিরভাগই আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী। তারা ইসির ল্যাপটপসহ সামগ্রী ব্যবহার করে এ জালিয়াতি করেছে।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মচারী এ কাজে জড়িত। তবে যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেগুলো এখনো প্রমাণিত হয়নি।’
রোহিঙ্গা ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক ভোটার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, চীনা একজন নাগরিক ভুল তথ্য দিয়ে ফেনীতে ভোটার হয়েছেন। সেটি ইসি শনাক্ত করেছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন হলে সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ভোটাররা। ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখান থেকে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। ইভিএমের ওপর সবার আস্থা আছে। এজন্য এখন থেকে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।
আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠ হবে দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আশা করি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারবো।