t স্বামীকে আটকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা – পাঠক নিউজ

ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্বামীকে আটকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ করলো স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ঢাকার কাফরুল থানা এলাকার ইমান নগরে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই রবিউল ইসলাম। ২৭ বছর বয়সী ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এসআই রবিউল সোমবার গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘটনাস্থল ও বাকি অন্যসব বিশ্লেষণ করে বলতে পারি, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।”

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় কর্মী বলে ওই নারীর দাবি। পুলিশের ধারণাও তাই। শনিবার মামলার পর জাহাঙ্গীর নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন জনি ও আতিক দেওয়ানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই রবিউল।

মামলা দুদিন আগে হলেও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ১ জানুয়ারি সোমবার ভোরে। ওই পোশাককর্মী ইমাম নগরে একটি টিনশেড বাসায় তার দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকছেন।

ওই নারী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ভোর ৪টার দিকে ক্ষুধা লাগলে স্বামীকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ওই এলাকায় দুটি দোকান সারারাত খোলা থাকে। কিন্তু সেদিন দোকান দুটি বন্ধ দেখে ফেরার পথে জনি ও আতিকের কবলে পড়েন তারা।

তিনি বলেন, “পাশের একটি গলিতে ঢুকলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্লাবের জনি ও আতিক দেওয়ান পথ আটকে বলে, এত রাতে আমরা রাস্তায় কেন? তারা আমাকে ‘খারাপ মেয়ে’ বলে আমার স্বামীকে যা তা বলে মারধর শুরু করে।
“তারা আমার কাছে আমাদের বিয়ের কাবিননামা চায়। কেউ কি কাবিননামা নিয়ে বের হয়?”

ওই নারী বলেন, “উপায়ান্তর না দেখে যে বাসায় থাকি, সে বাসার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমকে ডাকি। কিন্তু উনার কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি, উনি এসে জনি ও আতিকের সামনে উল্টাপাল্টা বলতে শুরু করে।”

এরপর জাহাঙ্গীর, জনি ও আতিকের মধ্যে ‘আকার ইঙ্গিতে’ কিছু কথা হয় বলে জানান ওই নারী।

“এরপর জনি আমাকে বলে, ‘চল তোর বাসায় গিয়ে দেখি কাবিননামা’। এই বলে আমার স্বামীকে ক্লাবে রেখে জনি ও জাহাঙ্গীর বাসায় আসে। আমার বাসায় ঢুকে জনি বলে, ‘তোর স্বামীকে মেরে ফেলব যদি তুই চিৎকার করিস’।”

এরপর জনি তাকে ধর্ষণ করে এবং জাহাঙ্গীর বাইরে পাহারা দেয় বলে ওই নারীর অভিযোগ। আতিক তার স্বামীকে আটকে রেখেছিল।

“এরপর তারা আমার স্বামীকে ছেড়ে দেয়।” পরে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে থানায় গিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।

ওই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই রবিউলকে। তিনি বলেন,“ জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে। সে কারাগারে রয়েছে। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে “

জনি ও আতিক স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী কি না- জানতে চাইলে এসআই রবিউল বলেন, “ক্লাবে যেহেতু আড্ডা মারে, তাহলে নিশ্চয়ই ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।”

সর্বশেষ

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল কর্মী নিহত

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print