
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করতে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারী ভোটের দিন ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। যেন তারা নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভোটারদের পাশে থাকতে হবে। সন্ত্রাস ও ভোট ডাকাতদের হাতেনাতে ধরতে হবে। কোন মতেই এ অবৈধ সরকারের ভোট ডাকাতদের ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি ৭ জানুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গঠিত সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ মানুষের বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। সারাদেশে আজ দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। সাধারণ মানুষ আজ এই অবৈধ সরকারের নিকট জিম্মি। মানুষের গণতন্ত্র নেই, নেই বাকস্বাধীনতা। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে দেশে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে এই অবৈধ সরকার। দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে দেশপ্রেমী জনতাকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সমন্বয় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, উপনির্বাচনে মুক্তিকামী মানুষ এর থেকে উত্তরণের জন্য ধানের শীষকে বেচে নিয়েছে। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত এই আসনে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করছে। তিনি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, কাউন্সিলর সামশুল আলম, এডভোটেক আবদুস সাত্তার, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, শফিকুর রহমান স্বপন, সৈয়দ আহমদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সহসাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, কাউন্সিলর মো. আজম, ড. নুরুল আবচার, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. শাহজাহান, আরিফ মেহেদী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, শরীফ খান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।