
চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরি এলাকায় নগর মহিলার দলের কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনির বিরুদ্ধে। মনি গ্রুপের হামলায় নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী ফাতেমা বাদশার অনুসারী ১০জন নারী আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় নগরীর কাজীর দেউড়ির ‘সমাদর’ কমিউনিটি সেন্টারের ক্লাবের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার বেগম, জামালখান ওয়ার্ডের সভানেত্রী মরজিনা বেগম, কোতোয়ালী থানার ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদা বেগম, মহিলা দল নেত্রী জাহেদা সোলতানা, তাসলিমা আখতার, আনোয়ারা জাহান, নুরজাহান বেগম, হাজেরা বেগম আহত হন। তারা সবাই ফাতেমা বাদশার অনুসারী বলে জানা গেছে।

সংঘর্ষে বর্তমান সভানেত্রী বেগম ফাতেমা বাদশা নিজেও আহত হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
দলের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী বেগম ফাতেমা বাদশা পাঠক ডট নিউজকে বলেন, মনোয়ারা বেগম মনিকে যখন বহিস্কার করা হয়। আমি তখন দেশের বাহিরে ছিলাম। আমাকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। মনি সভানেত্রী থাকাকালীন কোন ওয়ার্ড গঠন করেনি। সবগুলো কমিটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ওয়ার্ড কমিটিগুলো গঠনের সিদ্ধান্ত নেই। সেই মোতাবেক আজ বিকেলে আমরা আজ ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ও ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে পরিচিতি সভা করার সিদ্ধান্ত ছিল। সাবেক সভানেত্রী রেজিয়া বেগম বাসার সভা করার কথা ছিল। আমরা সবাইকে বলেছিলাম সমদার ক্লাবের সামনে থাকার জন্য সেখান থেকে একসাথে যাবো। কিছু মহিলা সেখানে আমার জন্য অপেক্ষো করছিল। এসময় মনির একটা গ্রুপ আমার মহিলা কর্মীদের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। তাদের উপর পঁচা ডিম নিক্ষেপ করা হয়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়।
ভিডিও
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মনোয়ারা বেগম মনি বলেন, এই ঘটনার সাথে আমি কোনভাবেই জড়িত নয়। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ওয়ার্ডের কাজ নিয়ে আমি ব্যস্ত। ওই ঘটনায় আমি ছিলাম না। আমি আজ লালখান বাজারের বাহিরে যাইনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।