বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় ভাবীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রবিবার রাতে দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
অপরদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের অব্যাহত চাপের মুখে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।
ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার নাঘিরপাড় গ্রামের। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খান মো: আব্দুল হক এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, নাঘিরপাড় গ্রামের পরিমল ঘরামী কর্মের সুবাধে ঢাকায় থাকায় তার স্ত্রী পুস্প রানী (৩২) তার দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে একই বাড়ির লাল মোহন ঘরামীর পুত্র (চাচাতো দেবর) বিধান ঘরামী (৪০) প্রায়ই পুস্পকে বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
রবিবার দুপুরে পুস্পকে একাকি ঘরে পেয়ে বিধান ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্ঠা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে শ্লীলতাহানী ঘটায়। এসময় পুস্প’র ডাকচিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে বিধান পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে পুস্প বাদী হয়ে বিধানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে বিধান ঘরামীকে গ্রেফতার করেন।
পুস্প রানী অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক বক্তিয়ার ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বপন বৈদ্যসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে সোমবার সকালে তিনি (পুস্প) স্বামীর বাড়ি ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
