ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে সরকারী চাল নিয়ে অনিয়ম দুর্নিতী, ৩ পরিদর্শককে শোকজ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

screenshot_16
নগরীর সদরঘাট খাদ্য অধিদপ্তরের অফিসে ঘুষ লেনদেনের দৃশ্য। ছবি: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর।

চট্টগ্রামে ওএমএস এর চাল নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অবশেষে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কানিজ জাহান এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবুল কাশেম। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদেরকে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম তদন্ত কমিটি ঘটনের কথা স্বীকার করে জানান, যে ৩ জন খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনির্তীর অভিযোগ উঠেছে তাদের দুদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই জবাব পাবার পরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওএমএস-এর ডিলারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠে খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং শুভজিত দে’র বিরুদ্ধে।

screenshot_25
অভিযুক্ত খাদ্য পরিদর্শক শুভজিদ দে।

উল্লেখ্য বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গরীব দুখি মানুষের মাঝে কমমূল্যে বিক্রিরে জন্য খোলাবাজারের চাল নিয়েও শুরু হয় হরিলুট। প্রতিদিন দিন বরাদ্দ ৬০ মেট্রিকটন চালের এক তৃতীয়াংশও পৌঁছায় না দরিদ্র মানুষের কাছে।

গুদামেই অর্ধেক বিক্রি করে দিচ্ছেন ডিলাররা। বাকিটা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এই অনিয়ম-দুর্নীতির নেপথ্যে খোদ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ওএমএস-এর চাল নিয়ে এমন ভয়াবহ জালিয়াতির চিত্রপ্রচারিত হয় একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে। এর পর পরই তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে।

screenshot_22
সাংবাদিকদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছেন একজন খাদ্য পরিদর্শক।

এতে দেখা গেছে, প্রকাশ্যেই ওএমএস-এর এক ডিলারের কাছ থেকে কমিশন নিচ্ছেন খাদ্য পরিদর্শক শুভজিত দে। ডিলারদের সাথে দরকষাকষিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন খাদ্য কর্মকর্তারা। পরে টেলিভিশনের ক্যামেরা দেখে নিজের কক্ষ থেকে সটকে পড়ছেন অবৈধভাবে অর্থ নেয়া খাদ্য পরিদর্শকরা।

অভিযোগ উঠে সরকারি গুদাম থেকে চাল যাবার কথা খোলাবাজারে। যেখান থেকে ন্যায্যদামে কিনবেন স্বল্প আয়ের মানুষ। কিন্তু সেই চাল গুদাম থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছে পাইকারি বাজার কিংবা আড়তে। এর আগে মাঝপথেই ট্রাক থেকে খুলে নেয়া হয় ওএমএস-এর ব্যানার। আর এভাবেই সরকারি চালে সয়লাব হচ্ছে বাজার।

চট্টগ্রামে দেওয়ানহাট ও হালিশহর সিএসডি থেকে প্রতিদিন বের হয় ওএমএস এর চাল বোঝাই ট্রাক বা পিকআপ। তাতে ব্যানার লাগানো বাধ্যতামূলক হলেও বেশিরভাগেই তা নেই। আবার ব্যানার লাগিয়ে কিছু ট্রাক বের হলেও পরে তা খুলে ফেলা হয়। এরপর চাল বিক্রি করে দেয়া হয় কোন আড়ত বা দোকানে।

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print