ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন হেলাল হুমায়ুন

????????????????????????????????????

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

হেলাল হুমায়ুনের স্বরণ সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার।

বরেণ্য সাংবাদিক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের ব্যুরো প্রধান হেলাল হুমায়ুন সাংবাদিকতার পাশাপাশি আজীবন সমাজ সেবা ও অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেগেছেন।

প্রবীণ এই সাংবাদিকের শোকসভা উপলক্ষে আয়োাজিত স্মরণসভায় বক্তারা এভাবে তাঁকে মূল্যায়ন করেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্চে ওই সভার আয়োজন করে। সভায় এক সময়কার তার সহকর্মী, সুহ্নদ, প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের বর্তমান এবং সাবেক নেতৃবৃন্দ হেলাল হুমায়ুনের বর্ণাঢ্য জীবনের ওপর আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, ‘সাংবাদিকতায় তার অবদান কখনোই ভুলবার নয়। নিবৃতচারী হেলাল হুমায়ুন নিজেকে আড়াল করে রাখতেন। তার জ্ঞানের পরিধি, জ্ঞানের আলো তাকে উচ্চ মাপে পৌছে দিয়েছেন। তারমধ্যে মানুষকে আপন করে নেয়ার অনন্য শক্তি ছিল। মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন সমৃদ্ধ ও ধনী। যা অনেকের মধ্যে নেই।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে আপসহীন সাংবাদিকতার মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হতে পারলেই হেলাল হুমায়ুনের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হবে।

স্বরণ সভায় মোনাজাত পরিচালনা করছেন মাওলানা জামাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম বলেন, ‘হেলাল হুমায়ুন ছিলেন সৎজন। তার অফিসে কোন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ গেলে তিনি তাকে মন্ত্রীর মতো করে গ্রহণ করতেন। তার মত হাতেগোণা কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছে দেশে। তিনি বলেন, আজ একজন ভাল অগ্রজকে হারালাম। দেশ প্রেমিক এ সংবাদিক সমাজ,সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতার বিকাশের জন্য যে কাজ করে গেছেন ওই কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি আজীবন বেঁচে থাকবেন।

চট্টগ্রাম সংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, এটা সবাই স্বীকার করবেন যে, হেলাল হুমায়ুন ছিলেন সাহসী সাংবাদিক, আপসহীন। তাঁর সাংবাদিকতার জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। দাবি আদায়ে তিনি ছিলেন সাহসী ও বলিষ্ঠ।

প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউল হাকিম বলেন, পেশাগত জীবন ও ব্যক্তি জীবনে এক অনন্য মানুষ ছিলেন হেলাল হুমায়ুন। প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণে ১৯৯০ সালে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অত্যন্ত সহজ সরল জীবন যাপন করেছেন। সাংবাদিক হিসেবে ছিলেন অতুলনীয়। সাংবাদিকতার জটিল বিষয়গুলোকেও খুব সহজভাবে উপস্থাপন করতেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল,হেলাল হুমায়ুন নিজেকে একজন দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলেন।

প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সালাহউদ্দীন রেজা বলেন, হেলাল হুমায়ুন দক্ষ সাংবাদিক ও সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, তিনি দেশ প্রেমিক ছিলেন। সকল দলের,সকল মতের মানুষকে কাছে টানার প্রকট শক্তি ছিল তার মধ্যে। অসচ্ছ্বল সাংবাদিকদের জন্য নিবৃত্তে তিনি কাজ করে গেছেন। যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ বলেন, বর্তমান সময়ে সাংবাদিকদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। হেলাল হুমায়ুনকে অনুসরণ করে সাংবাদিকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক বলেন, হেলাল হুমায়ূন ছিলেন একজন বিনয়ী ও সদালাপী সাংবাদিক। তার বিনয় সবাইকে দ্রুত আপন করে নিতেন।

ইনকিলাবের ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, হেলাল হুমায়ুনের মধ্যে এক ধরনের চঞ্চলতা ছিল। সহজ সরল ভাষায় প্রতিবেদনকে কতটা বিস্তৃত করা যায় সেই চেষ্টা তার সবসময় থাকতো। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে, আপোস করার মতো কেনো চরিত্র ছিলেন না। তিনি আমার অনেক বড় হলেও তবে আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। যদিও আমি ছিলাম তাঁর অনুরাগী ও ভক্ত।’

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরী বলেন, অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় তাঁর জুড়ি ছিল না। তিনি জীবনভর সুনাম বজায় রেখে সাংবাদিকতা করেছেন।

হেলাল হুমায়ুনের ছেলে আব্দুল্লাহ গালিব আল হিলালী বলেন, আশা করি আপনারা সব সময় আমাদের পাশে থাকবেন। পাশাপাশি বাবার জন্য দোয়া করবেন।

স্মরণসভার সঞ্চালক ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

সভায় আরও বক্তব্য দেন দৈনিক নয়াবাংলার সম্পাদক জিয়া উদ্দিন এম এনায়েত উল্লাহ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সাংবাদিক সিরাজুল করিম মানিক, হেলাল হুমায়ুনের শ্বশুর ওয়াকিল আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা লেখিকা আলেয়া চৌধুরী প্রমুখ।

স্মরণ সভার আগে জাতীয় চার নেতা সহ মরহুম সাংবাদিক হেলাল হুমায়ূন এবং প্রেসক্লাবের এপর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ আনিস মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা জামাল উদ্দিন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print