ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বাঁশখালী এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে আবাঞ্চিত, অপাসরণ দাবী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামের বাঁশখালী-১৬আসনের সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দের বড়ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়া এবং সংসদ সদস্য কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার প্রতিবাদে আজ ২৯জুলাই (বুধবার) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান মৌলভী সৈয়দের পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফের ছেলে জয়নাল আবেদিন।

তিনি বলেন, গত ২৬শে জুলাই দুপুর দুইটায় আমার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পক্ষ থেকে। পরদিন ২৭শে জুলাই সকাল ১১টায় জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে শত শত লোক শেখেরখীল লালজীবন গ্রামে জানাজায় অংশ নেন। এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দিতে আগেভাগেই হাজির হয় পুলিশের টিম। কিন্তু প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ উপস্থিত হননি। জানাজায় উপস্থিত কেউ কেউ এবং মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করলেও সঠিক সময়ে উপস্থিত হননি তারা। পরে জানাজায় মানুষ উত্তেজিত হলে মরদেহ দাফন করে ফেলে পরিবার।

এরমধ্যে প্রায় ১১টা ৪৫মিনিটে সেখানে হাজির হন এসিল্যান্ড মো. আতিকুর রহমান। দেরীতে গিয়ে এবং লাশ দাফনের পর এসিল্যান্ড গার্ড অব অনার দিতে চাইলে মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁধা প্রদান করেন। পরিবারও এতে আপত্তি তুলেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার সেখানে হাজির হয়ে এ মুক্তিযোদ্ধার কবরে ফুল দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। প্রশাসনের এমন দায়িত্বহীন ভূমিকা একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হতাশ করেছে যা অসম্মানের সামিল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমার পরিবারটি মুক্তিযুদ্ধের পরিবার। এটা সবাই জানে। কিন্তু বারে বারে পরিবারটিকে হেয় করতো উপজেলা আওয়ামীলীগ। দলীয় পদে থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফকে কখনো সভা সমাবেশে ডাকা হতোনা। কখনো নিজে গেলেও অপদস্থ করতো। মৃত্যুর পরেও এমন অপদস্থ হওয়ায় আমরা মানতে পারিনাই। আমরা ধারণা করছি প্রশাসনকে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে।

এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর গণমাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাঁশখালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে তীর্যক মন্তব্য প্রদান করেন। যেখানে তিনি বলেন, বাঁশখালীতে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। ডা. আলী আশরাফ মুক্তিযোদ্ধা কিংবা আওয়ামীলীগের কোন পদে নেই। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের এমন বক্তব্য আমাদের হতবাক করেছে। বাঁশখালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তিনি ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছেন।

একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে যেখানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে তিনি সমবেদনা জানাবেন সেখানে এমন বক্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এখন সারা বাঁশখালীর মানুষ উনার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রথমত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার না দিয়ে প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা তথা মরহুমের পরিবারকে অবহেলা করেছে। এটা কেন হয়েছে তা সেদিনের পরিস্থিততি যাচাই করলেই স্পষ্ট হবে। এখানে প্রশাসনের দাযিত্বপ্রাপ্ত ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের সুস্পষ্ট গাফিলতি ছিলা। জানা যায়, ৩জন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হলেও দলীয়ভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি উপজেলা আওয়ামীলীগ। আমরা সেদিনের ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। একইসাথে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করায় তার শাস্তি দাবী করছি।

সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের পরিবারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং সংসদ সদস্যকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের দাবী রাখছি। এ বিষয়টি ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। নয়তো মরহুমের পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধার দুঃখ নিয়েই বেঁচে থাকবে। সমাজের কাছে বারেবারে হেয় হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন না। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে অনুপ্রবেশ করে বাঁশখালী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছেন। তিনি কখনও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও আওয়ামীলীগের অসম্প্রদায়িক নীতি ধারণ করতে পারেন নি। এমনকি তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আমরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষ থেকে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সংসদ সদস্যের পথ থেকে অপসারণের দাবী জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক বাঁশখালী থানা কমান্ডার রশিদ সেন, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা সরওয়ার আলম মনি, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিমু হামিদসহ প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print