ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

৫ লাখ ভারতীয় কাজ করতে পারলে বিজন কেন পারবে না, প্রশ্ন জাফরুল্লাহর

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করতে পারলে ড. বিজন কুমার শীল কেন পারবেন না-এ প্রশ্ন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রোববার রাতে ডা. জাফরুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের দেশে জয়েন্টভেনচার আছে। চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের লোক আসছে কাজ করতে। ভারতের পাঁচ লাখ লোক বাংলাদেশে কাজ করে। তাহলে সে (বিজন কুমার শীল) কেন পারবে না?’

গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে তার সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার বিষয়ে যে খবর বেরিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে দাবি করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কেন চলে যাবে? বাংলাদেশ সরকার যদি তাড়িয়ে দেয় সেটা ভিন্ন কথা।’

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘তার (ড. বিজন কুমার শীল) মতো লোক যদি চলে যায়, বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, গবেষণা স্তিমিত হয়ে যাবে। আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত, সে যেন দেশে কাজ করতে পারে।’

বাংলাদেশে কাজ করতে তার কোনো আইনি বাধা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করে না বিধায় সে দেশে কাজ করার সময় তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারা পৃথিবীতে কাজ করতে পারে। তবে কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি লাগে। আগস্টের ১০ তারিখ আমরা তার অনুমতির জন্য আবেদন করেছি।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে-এমন খবরও অস্বীকার করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এখানে তার দুটি পদ আছে। সে আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আমাদের ফার্মাসিউটিকালের প্রধান। তার মতো লোককে পাওয়া যেকোনো দেশের জন্য সম্মানজনক।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘একটা শ্রেণি তাকে তাড়িয়ে দিতে চায়। এ দেশে ভালো কাজ তো করতে দেয় না। পাঁচ মাস আগে আমরা এন্টিবডি উদ্ভাবন করলাম, অথচ পারমিশন পাই না।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১ জুলাই সে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদানের নিয়ম অনুযায়ী আমাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সেই দেশের নাগরিকত্ব নিতে হয়েছে। আমার বাড়ি ও জন্মস্থান বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভিসার মেয়াদ আরও এক বছর আছে।’

১৯৬১ সালে নাটোরের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সায়েন্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি। অণুজীব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পরে কমলওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সারে থেকে।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print