ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে শফীপুত্র আনাসকে বহিস্কারের দাবীতে ছাত্রদের বিক্ষোভ

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ছেলে আনাস মাদানীকে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের (হাটহাজারী মাদ্রাসা) থেকে বহিস্কারের দাবী উঠেছে।  এ দাবীতে আজ বুধবার সকাল থেকে হাজার হাজার ছাত্র ক্লাশ বর্জন করে মাদ্রাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ করছে।

খবর পেয়ে হাটহাজারী থানা থেকে পুলিশ গেলেও ছাত্ররা মাদ্রাসায় ঢুকার গেইট বন্ধ করে দেয়ায় পুলিশ ভীতরে ঢুকতে না পেরে বাইরে অবস্থান করছে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে ছাত্ররা আরো বেশী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

.

এর আগে গতকাল থেকে ছাত্র সমাজের দাবী দাওয়া নিয়ে লিফলেটও বিতরণ করা হয়৷

লিফলেটে সাধারণ ছাত্ররা দাবী করেছে এক- আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার এবং আল্লামা আহমদ শফীকে বাধ্যর্কজনিত মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপদেষ্টা বা সন্মানজনক পদে পদায়ন করা।

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, আল্লামা শফী বর্তমানে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার এই অসুস্থতার সুযোগে কোনো নিয়মনীতি না মেনেই হাটহাজারী মাদরাসা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করছেন আনাস মাদানী। এছাড়া হাটহাজারী মাদরাসা, হেফাজতে ইসলাম ও কওমি মাদরাসা বোর্ডের (বেফাক) ওপর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে মাদ্রাসার প্রশাসনিক তদারকিতে অক্ষম হয়ে পড়ছেন। একাধিকবার তাকে দেশে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিজের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় আহমদ শফী দফতারিক কাজে ছোট ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর ওপর নির্ভর হয়ে পড়েন। এই সুযোগে মাওলানা আনাস মাদানী হাটহাজারী মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও বেফাকে নিজের বলয় বাড়াতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

.

শাহ আহমদ শফী নিজের একক সিদ্ধান্তে ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীকে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। মাদ্রাসার মহাপরিচালকের ছেলে হিসেবে তিনি প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ, বরখাস্ত করা হয় প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে।

সূত্র জানায়, হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফীর প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদকে কোনও নোটিশ ছাড়াই ২৮ আগস্ট হঠাৎ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শফীর ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর প্রভাব, মাদ্রাসার ভেতরে প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয়গুলো আলোচনায় আসে। মাওলানা আনাস মাদানীর প্রভাবে কোনও কারণ দর্শানো ছাড়াই কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বিনা কারণে মৌখিক নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন, মাওলানা হাফেজ কাছেম (সহযোগী পরিচালক ও মুহাদ্দিস, মাওলানা রশীদ আহমদ ফয়জী, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাপুরী (শিক্ষক প্রতিনিধি), মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ ওসমান, মাওলানা তরীকুল ইসলাম, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা মাহবুবুর রশীদ, মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম, মাওলানা হাফেজ ইসমাঈল, মাওলানা হাবীবুল্লাহ সোহাইল, মাওলানা হাফেজ আব্দুর রশীদ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট