ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে শফীপুত্র আনাস মাদানীকে বহিস্কার

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

ছাত্রদের দাবীর মুখে অবশেষে হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে (হাটহাজারী মাদ্রাসা) হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফীপুত্র আনাস মাদানীকে বহিস্কার করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে প্রত্যাহার এবং বহিস্কারের কথা মাইকে ঘোষনা দেন এবং ছাত্রদের সকল দাবী মেনে নেয়ার কথা বলেন।

এর আগে দুপুর থেকে এ দাবীতে আজ হাজার হাজার ছাত্র ক্লাশ বর্জন করে মাদ্রাসা ঘেরাও করে ছাত্ররা বিক্ষোভ করে আসছিল।

জানাগেছে- হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানীকে বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে উত্তাল হয়ে উঠে হাটহাজারী মাদ্রাসা। এই ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সেই সাথে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পুত্র মাওলানা আনাস মাদানীর কক্ষে ভাংচুর হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে সন্ধ্যার পর থেকে বৈঠকে বসেন শুরা কমিটি।
ছাত্ররা জানায় দুপুর ১ টার হতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের খবর চারদিক ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা। এসময় চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার একে এম রশিদ, র‌্যাব এর চট্টগ্রাম পরিচালক মুশিউর রহমান, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন, ডিএসবি এএসপি এমরান আলী উপস্থিত হন।

দুপুর ১টার দিকে মাত্রাসার আশেপাশে ৫ দফা দাবি সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ করে আন্দোলনকারী ছাত্ররা।  প্রচারকৃত এই লিফলেট অনুসারে তাদের ৫ দফা দাবি সমূহ হলো যথাক্রমে মাওলানা আনাস মাদানীকে অনতিলম্বে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার, ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন সহকারে ছাত্রদের হয়রানী বন্ধ করা, আল্লামা শফী সাহেব বয়োবৃদ্ধ হওয়োয় পরিচালকের পদ থেকে সম্মানজনক অব্যাহতি দিয়ে উপদেষ্টা বানানো, বহিষ্কৃত উস্তাদদের পুনঃ নিয়োগ, পূর্ণ অধিকার ও বিয়োগ নিয়োগকে শুরার নিকট পূর্ণ ন্যাস্ত করা, বিগত শুরার হাক্কানী আলেমদেরকে পূর্ণবহাল ও বিতর্কীত সদস্যদের পদচ্যুত করা।

শুরা কমিটি এসে দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্ররা বার বার মাইকে ঘোষণা দেয়, মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাতে প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করি।

এসময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে সতর্ক করে বলে যদি পুলিশ অন্যায়ভাবে আন্দোলনকারী মাদ্রাসা ছাত্রদের উপর লাঠিচার্জ করে তাহলে তারাও পুলিশের উপর লাঠিচার্জ করবে। এতে যেকোন প্রকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জন্য পুলিশ দায়ি থাকবে। আর এই সংঘর্ষের জের বাংলাদেশের সকল কওমী মাদ্রাসায় ছড়িয়ে পড়বে বলে হুশিয়ারী দেয় আন্দোলনকারীরা।

মাদ্রাসর গেইটে তালা দিয়ে প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে দুপুর ১ টা হতে রাত ৯ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদ্রাসার ভিতরে প্রশাসন বা সাংবাদিক কেউ প্রবেশ করতে পারে নি। চেষ্টা করেও সরাসরি কিংবা মুঠোফোনে কোন আন্দোলনকারীদের সাথে কথাও বলা যায় নি।

এই দিকে মাদ্রাসার সামনে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার একে এম রশিদ জানান, যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়ানোর জন্য পুলিশ

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print