
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত ৪ জন নিহত ও ২০ জনের মত আহত হয়েছে।
জানাগেছে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে এ সংর্ঘষ শুরু হয।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ নিহত হন। তবে এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
নিহতরা রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না গ্রুপের সদস্য এর আগে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শনিবার রাতভর এই দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়।
রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা পাচার, চাঁদাবাজি, অপহরণ নিয়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সাথে আরেক সন্ত্রাসী বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ চলে আসছিলো। তারই জেরে আজ সন্ধ্যা ৭টায় উভয় গ্রুপ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ ১ ঘণ্টা উভয় গ্রুপের মাঝে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি দেশিয় অস্ত্র নিয়েও উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় ৪ জন নিহত। নিহতদের মধ্যে সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস ও রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন এপিবিন সুত্রে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।