
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১৩ বছরের শিশু ও মাদ্রাসার ছাত্রের সাথে অসামাজিক কাজের অভিযোগে কামরুল ইসলাম (২৮) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আজ সোমবার বিকেলে শিশুটির পিতা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । আটক হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার জিয়া নগর উপজেলার মৃত সুলতান ফকিরের পুত্র। তিনি পটিয়া পৌর সদরের ১ নং ওয়ার্ডের আল্লাই মোহম্মদীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
শিশুটির পিতা নুর মোহাম্মদ জানান, ‘আমার ছেলে পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়াশোনা করছেন। গত রবিবার রাত ৮ টার দিকে আমার ছেলে পটিয়া ষ্টেশন রোড় থেকে আমির ভান্ডার এলাকায় বাসায় আসার পথে মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল আমার ছেলেকে তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার ছেলেকে বলাৎকার করে। পরে তাকে পিয়াজু দিয়ে বলে দেয় এ ঘটনা যাতে কাওকে না বলে।
পরে সে রাতে বাসায় এসে তার মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। তার মা আমাকে অবগত করলে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের গোবিন্দরখীল এলাকার তার ভাড়া বাসা খুজে বের করি। এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজনদের জানানো হলে স্থানীয়রা উক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে তার বাসার রুমের বাইরে তালা মেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মাদ্রাসা শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, ‘আমি এ ধরনের কিছুই করি নাই। এমনিতে ছেলেটাকে আদর করেছিলাম। পরে তাকে পিয়াজু খেতে দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন মজুমদার জানান, শিশু বলাৎকারের ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষককে দক্ষিণ গোবিন্দরখীল তার বাড়া বাসা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শিক্ষককের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত মাওলানা ঘটনার বিষয়টি শিকার করেছন। আরো বিস্তারিত জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।