ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সীতাকুণ্ডে প্রেমিকাকে হোটেলে আটকে রেখে গণধর্ষণ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুেণ্ডের একটি আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে ৫ বন্ধু। এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) তাদের আটক করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (১০অক্টাবর) বিকেলে থেকে পরদিন রবিবার রাত ২টা পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের জলসা আবাসিক হোটেলে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়নের (২২) সাথে এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় মিরসরাই উপজেলার ওই তরুণীর। এরপর থেকে মোবাইল ফোনে নয়নের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়।

প্রেমিক নয়ন গত শনিবার মোবাইল ফোনে কথা বলে ওই তরুণীকে সীতাকুণ্ডে আসতে বলে। তরুণী সীতাকুণ্ডে গেলে প্রেমিক নয়ন ও তার বন্ধুরা তাকে গুলিয়াখালী সিবিচসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে বিশ্রামের কথা বলে রাতে পৌরসদর ডিটি রোডের মো. আবুল কালামের মালিকানাধীন জলসা হোটেলে নিয়ে ৪র্থ তলার ৪০১ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে। পরে নয়ন তরুণীকে জোর করে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ায়। এরপর তাকে পর পর তিনবার ধর্ষণ করে। রাত ১০ টার দিকে নয়ন খাবার আনার কথা বলে হোটেলের নিচে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আরও ৫ যুবক পর্যায়ক্রমে রুমে গিয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত ধর্ষণ করে।

এরপর তারা বাইরে চলে যায়। রাত দুইটার দিকে হোটেল ম্যানেজার তরুণীকে জানান, আরও তিনজন যুবক হোটেলে আসবে। এ কথা শুনার পর তরুণী আরেকটি রুমে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। তিন যুবক তখন তরুণীকে না পেয়ে নিচে চলে যায়।

তরুণী করা মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, রাত দুইটার পর ঐ তরুণী হোটেল থেকে বের হয়ে বাড়ির উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিলে গভীর রাতে বাড়ি যাওয়ার গাড়ি না পেয়ে পৌরসদর বাসস্ট্যান্ডে বসে থেকে সকালে বাড়ি ফিরে যায়।

এরপর আজ সোমবার সকালে তরুণী সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ দিনভর বিভিন্ন এলাকায়দ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে হোটেল জলসা ম্যানেজারসহ ছয়জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রনি (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২) ও আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার নুর উদ্দিন (৩৮)।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণীর সাথে এক মাস আগে বিয়ের অনুষ্ঠানে নয়নের পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে আবাসিক হোটেলে নেশা জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে নয়নসহ তার বন্ধরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় পুলিশ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print