
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শ গ্রামের হামিউচ্ছুন্নাহ ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হলেন মো. সিরাজ (৩০) ও মো. ইসলাম (৩২)। অন্যান্যরা হাসপাতালে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা দুই দফায় ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে। এদিকে রাতে এ রির্পোট পর্যন্ত উত্তেজনা নিরসনকল্পে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাংগীর ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিমে মধ্যম পাহাড়তলী আদর্শ গ্রাম প্রকাশ গুচ্ছ গ্রামের উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের মত সকাল সাড়ে ৮টায় মাদ্রসায় যাওয়ার সময় এলাকার কয়েকজন যুবক শিক্ষার্থীদের গতিরোধ করে রিক্সার চেইন, লাঠি-সোঠা নিয়ে একত্রিত হয়ে অতর্কিতভাবে শিক্ষার্থীর উপর চড়াও হয়ে তাদেরকে বেধড়ক পিঠুনি দেয়।
এ সময় ২১ জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে জানান মাদ্রসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা মুফতি মো. এমদাদুল্লাহ। কিন্তু অপর পক্ষের আদর্শ গ্রামের সরকার দলীয় কর্মী কামাল উদ্দিন জানান, মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা এমদাদ হুজুরের নেতৃত্বে আমাদের গ্রামবাসীর উপর মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে হামলা চালায়। এতে ৯ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া ওই এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আদর্শ গ্রামের দুই বাসিন্দা ঘটনার সমাধানকল্পে কথা বলতে গেলে আদর্শ গ্রামে প্লটবিহীন ভাড়ায় বসবাসরত কথিত টাউট কাউছার ও মনির ধারালো কিরিচ দিয়ে মো. সিরাজ (৩০) ও মো. ইসলাম (৩২) কে কুপিয়ে জখম করে জানান আহত সিরাজের বড় ভাই মো. ইব্রাহিম।
ঘটনার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। যে কোন মূহুর্তে হামলা হতে পারে এমন আশংঙ্খায় সারাদিন আতংক বিরাজ করছিল উভয় পক্ষ মধ্যে।
এদিকে সন্ধ্যা ৭ টায় সকালের ঘটনার রেশ ধরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসী পূনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন জাহাংগীর এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। দুই পক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠকে অবস্থান করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। তিনি জানান, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশ অবস্থান করবে। তবে রাতে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।