
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: পীরগঞ্জ উপজেলায় শহরসহ গ্রামগঞ্জের মোরে মোরে শীত মৌসুমের ভাপাপুলি ও শীতে হরেক রকম লোভনীয় খাদ্য তৈরি ও বিক্রিতে ধুম পরেছে।
শীত মৌসুম মানেই পিঠাপুলি ও হরেক রকম ভাপাপিঠার দোকান গড়ে উঠছে। নানান স্বাদের পিঠা ছাড়াও যেন বাঙ্গালীর রসনা তৃপ্তি পূণ হয় না। গ্রামের অনেক বাড়িতে ভাপাপুলি ও শাপটাপিঠা আয়োজন হলেও শহরে তা হয় না। এতে করে পরিবারের কর্তারা তাদের শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তিদের জন্য শহরে শীত মৌসুমের খাদ্য কেনে খেতে হয়। সিদ্ধ চালের তৈরি নারিকেল মিশ্রিত এসব খাদ্য গুর দিয়ে স্বাদ মত খেতেই যেন ভরে উঠেছে শহরসহ গ্রামাঞ্চলে।
তাছাড়া চিতাইপিঠা ও ভাপাপুলি সহ শীতের হরেক রকম পিঠা তৈরী করছে দোকানীরা। অনেকেই এসব হরেক রকমের পিঠা ও ভাপাপুলিসহ শীতের খাদ্য বিক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বিশেষ করে আশ্বিনের শেষ সময় থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত এসব তৈরী ও বিক্রয়ে ধুম পড়ে থাকে। এদিকে আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে।
কেউবা ধান উঠানে শুকিয়ে নানান খাদ্য তৈরীর জন্য আতপ চাল করে আটা তৈরী করে করছে। কেউ বা আতপ চাল বাজারে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করছে।
বেশ কিছু গ্রাম এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা যায় আমন ধানের আতপ চাল কুটছে দলবদ্ধ নারীরা। এ নিয়ে যেন শীতের খাদ্যে মৌ মৌ ছড়িয়ে চলছে।
কি মুসলিম কি হিন্দু সকল সম্প্রদায়ের এখানে যেন শীতের খাদ্য স্বাদ নিতে প্রতিযোগীতাও চলছে। নেই কোন ভেদাভেদ। একে অপরের এ খাদ্যের স্বাদ বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিয়ে জাগিয়ে তুলছে শীতের পিঠা পুলির। এতে শীতের পিঠাপুলির ধুম পড়েছে।