
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার জনসাধারণের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ভার্চুয়াল জনসভায় চট্টগ্রামে ৮ থেকে ১০ লাখ জনসাধারণ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ শুরু হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১১টার সময় তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, গ্রোথ সেন্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।’
ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠেয় জনসভায় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, কর্মকর্তা, শিক্ষক, নারীকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, কর্মচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে কাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি জানান, লালদীঘি ময়দানে সর্বস্তরের প্রায় ২৫-৩০ হাজার জনগণ ভিডিও কনফারেন্সে উপাস্থিত থাকবেন।
এছাড়া মহানগরের ২৭৮টি, উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি, পৌরসভা পর্যায়ে ১২টি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৮০টি, গ্রোথ সেন্টার (হাট-বাজার) ১৯২টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৪৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৮৬টি, কলেজ ৫৯টি, মাদ্রাসা ১১৪টিসহ মোট ১৪৮৪টি স্থানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর/টিভির সাহায্যে অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভার্চুয়াল জনসভায় চট্টগ্রাম জেলার ৮ থেকে ১০ লক্ষ জনসাধারণ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
সকাল সাড়ে নয়টা থেকে চলবে উদ্দীপনামূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রাদায়িকতা প্রতিরোধ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান সমাবেশটি সাধারণ জনগণসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। জনসভায় ৫০টি মাইকের ব্যবসা করা হয়েছে। মাঠ ভরে গেলে আশে-পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়েও কথা শোনা যাবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দসহ গ্রুপভিত্তিক প্রায় ১২-১৫ হাজার লোককে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছি আপনারা আপনাদের ওয়ার্ড থেকে ৫০-১০০ জন লোক নিয়ে আসবেন।