
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর গান গেছে প্রায় আড়াইঘন্টা দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত তারকা রুনা লায়লা।
শুক্রবার রাতে নগরী জিইসি কনভেনশনে সেন্টারে এ মিলন মেলার আসরে চবি’র সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষাথী ছেলে-বুড়ো নারী-পুরুষ একসঙ্গে নেচে গেছে আনন্দ উল্লাসে মেতেছিলেন।

বয়সের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে রুনা লায়লার একের পর এক জনপ্রিয় গানের তালে তালে নাচেন সকল দর্শক নারী পুরুষ।
চবির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে র্যালী শেষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেজবান।

সন্ধ্যার পরপরই রেজিস্টেশনকৃত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং বর্তমান শিক্ষাথীদের পদচারণায় মুখরিত গয়ে উঠে জিইসি কনভেনশন সেন্টার।
সন্ধ্যা ৭টার পরপরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলে প্রথমেই মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় শিল্পী সন্দীপন। তিনি ‘সোনাবন্ধু তুই আমারে করলি রে দিওয়ানা গানটি দিয়ে শুরু করেন। এরপর ‘বসন্ত বাতাসে সই গো/ বসন্ত বাতাসে/ বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ/ আমার বাড়ি আসে’। ‘মধু কই কই বিষ খাওয়াইলা/ হন হারণে ভালবাসার দাম ন দিলা’ ছাড়া ওরে ও কালা ভ্রমরা/ আই আইজ ফুলর কড়া্ কলিত বই্ মুখখান ন লাগাইয়’সহ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়ে মাতিয়ে রাখেন দর্শক শ্রোতাদের।

এরপর মঞ্চে আসেন শিল্পী হৈমন্তি রক্ষিত মান। তিনি শুরুতে’ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা’, ‘স্বাদের লাউ বানাইল মোরে দিওয়ানা’
পরে মঞ্চে আসেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তপন চৌধুরী। তিনি গেয়ে উঠেন ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ও পাগল মন রে, আইচ্ছা পাগল মন রে’।
রাত ৮টায় শুরু হয় গরুর মাংসের সাথে সাদা ভাতের ঐতিহ্যবাহী “চাঁটগাইয়া মেজবান”। মিলনায়তনে খারাব চলাবস্থায় পিছনের বিশাল আয়োজনে চলতে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রাত ১০টা স্টেইজে আসেন প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রুনা লায়লা। প্রথমে দেশাত্মকবেধক গান দিয়ে শুরু করেন। এর পর একে একে তিনি জনপ্রিয় বাংলা, হিন্দী, উর্দূ গান পরিবেশন করে দুইঘন্টা মাতিয়ে রাখেন হাজার হাজার দর্শকদের। রুনার গানে আত্মহারা হয়ে নাচতে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরাও।
রুনা লায়লা গান শুরুন: