ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

২০২০ সাল: করোনা মহামারির মধ্যে সারাদেশের নানান আলোচিত ঘটনা

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে ১০ মিনিট

.

২০২০ সালের পুরোটাই ছিল করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিধ্বংসী এক বছর। সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশকেও বিপর্যস্ত করেছে এই ভাইরাস।

বাংলাদেশের সরকারের ঘোষণা করা মুজিববর্ষের ব্যাপক আয়োজন পুনর্বিন্যাস করতে হয় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে। এর সাথে বছর জুরে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে মানুষ, ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। তাছাড়া মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড বদলে দেয় একটা জেলার পুলিশ প্রশাসনের চিত্র।

বছর শেষে ভাস্কর্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ইসলামপন্থী দলগুলো।

করোনা মহামারি

বছরের শুরুতেই মানুষকে হতবাক করে দেয় মহামারি করোনাভাইরাস। চীন থেকে শুরু হয়ে দেশে দেশে যখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিল তখন বাংলাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠায় ছিল কবে বাংলাদেশে সনাক্তের খবর পাওয়া যাবে।

মার্চের ৮ তারিখে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের নিয়মিত ব্রিফিং এর জানানো হয় বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর।

,

ইন্সটিটিউটের তৎকালীন পরিচালক মেহেরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান “এতদিন আপনাদের যা বলে এসেছি আজ আর তা বলতে পারছি না। বাংলাদেশে তিনজন সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, একজন নারী”। এর পর শুরু মানুষের মনে ভয়, আতঙ্ক সঙ্গে বিভ্রান্তি। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।

বেশি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন করা হয়। সব ধরণের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করা হয় । এরপরে দফায় দফায় পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের তরফ থেকে করণীয় সম্পর্কে ঘোষণা এসেছে।

বেড়েছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। টিকা আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত তা বাংলাদেশে আসে নি। মানুষের কাছে সাবধান থাকার জন্য বার বার হাত ধোয়া, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা আর মুখে মাস্ক পরা – এগুলোই একমাত্র করণীয়।

মানুষের কাছে এই ভাইরাস বিরাট আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মুজিববর্ষ

এই মার্চ মাসেই বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা করা মুজিববর্ষ বিপুল আয়োজনে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ২০২০ ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত মুজিব বর্ষ ঘোষণা করে সরকার। দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল সরকারের।

প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানান, তাদের ব্যাপক প্রস্তুতির পর করোনাভাইরাসের কারণে সেটাকে কীভাবে পুন:বিন্যাস করার প্রয়োজন হয়েছে।

“খারাপ লেগেছে পরিকল্পনা মত করতে পারিনি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনর্বিন্যাস করেছি। অনেক কিছু হচ্ছে অনলাইনে, টেলিভিশনে। কিছু প্রকাশনা হয়েছে। তবে হ্যাঁ, জনসমাগম করার যে পরিকল্পনা ছিল সেটা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে করা হয়নি। আপনারা জানের প্রধানমন্ত্রী সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী বছর ১৬ই ডিসেম্বর করেছেন। আমরা আশা করছি পরিস্থিতি ভাল হলে অনুষ্ঠান করতে পারবো” – বলছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি

.

করোনাভাইরাসের কারণে একই মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটে। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দু’টি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন।

দুইবছরের বেশি সময় কারাভোগের পর এই করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে তাকে কারাভোগ স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তাঁর বোন সেলিমা ইসলাম বলেছেন, তাদের আবেদনের পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তার মুক্তির বিষয়টি তরান্বিত করেছে বলে তারা মনে করেন।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী বছরের ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা বলেছে সরকার।

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

.

বছর জুরে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। বছরের শুরুতেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানেই জ্ঞান হারান ছাত্রীটি। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান তিনি এবং আবার জ্ঞান হারান।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে এক ধরণের চরম হতাশা তৈরি হয়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেপ্টেম্বরের দিকে।

অক্টোবরে সোশাল মিডিয়াতে দেড় মিনিটের একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা শুরু হয়, আর মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঘটনার বিচার দাবি করে। পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলেছেন, ১০ বছর ধরে তারা প্রায় তিনশটি ধর্ষণের মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মামলারই বিচার শেষ করা যায়নি বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

“সমস্যাটা হচ্ছে, তদন্ত যিনি করছেন, তিনি তদন্তে সময় লাগাচ্ছেন। তিনি অনেকবার সময় নিয়ে তারপর হয়তোবা আদালতে চার্জশিট দিচ্ছেন।”

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষ।

সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে। এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী।

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলনের মুখে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী এনে অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।

মেজর সিনহা হত্যা

.

বছরের আলোচিত ঘটনার মধ্যে একটা হত্যাকাণ্ড পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক রদবদল ঘটায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে আসামী করে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এদের মধ্যে ১৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা এখন কারাগারে রয়েছে।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে জানান এই হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত।

মেজর সিনহা হত্যার পর পুলিশ এবং সেনাপ্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের দুই বাহিনীর পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। নিরপত্তা বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তোলেন দুই বাহিনীর মধ্যে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে কিনা।

এই ঘটনায় কক্সবাজারে জেলায় পুরো পুলিশ প্রশাসনে রদবদল করা করা হয়।

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা

.

লালমনিরহাটের একজন কে পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পুরিয়ে দেয়ার ঘটনায় হতবাক করে মানুষকে। পাটগ্রামে শহীদুন নবী জুয়েল নামে ঐ ব্যক্তির নামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শত শত মানুষ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।

নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল তার এক বন্ধু পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে মুসুল্লিরা তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মারধোর শুরু করে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন মসজিদটির খাদেম।

স্থানীয় প্রশাসন ওই দুইজনকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে নিয়ে রাখলেও বাইরে হাজার হাজার মানুষ জমে যায় এবং দরজা ভেঙ্গে, দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পুনরায় মারধোর শুরু করে।

পুলিশ একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও উত্তেজিত জনতা মি. জুয়েলকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। পরে তার মরদেহ মহাসড়ক পর্যন্ত টেনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি

করোনাভাইরাসের কারণে সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পরলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

স্থির মূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছে সেখানে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হার ইতিবাচক থাকার কারণ হিসেবে কয়েকটা বিষয়কে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

“কৃষিখাত, কল-কারখানায় শ্রমিকদের কাজে ফেরা, সঠিক পথে রেমিটেন্সের পাঠানো অব্যাহত ছিল বলে প্রবৃদ্ধি হার ইতিবাচক ছিল” বলছিলেন তিনি।

ভাস্কর্য ইস্যু

.

বছরের শেষ দিকে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এবং ইসলামপন্থী-দলগুলো কঠোর অবস্থান নেয়। ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় মোড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল ঐ এলাকায় সমাবেশ করে।

কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদে নামে। এই দলগুলো শেখ মুজিবের ভাস্কর্যকে ‘মূর্তি’ আখ্যা দিয়ে এর নির্মাণ বন্ধ করা না হলে আরও কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেয়।

ডিসেম্বরের ৪ তারিখে ভাষ্কর্য বিরোধী মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছিলেন, দেশে ইসলামি অনুশাসন চালু হলে ভাস্কর্য রাখার অবকাশ থাকবে না।

ভাস্কর্যের পক্ষে আওয়ামী লীগ সমমনা বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রতিবাদ জানায়। এরই মধ্যে কুষ্টিয়াতে শেখ মুজিবর রহমানের নির্মাণাধীন একটা ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেললে পরিস্থিতি চরমে পৌছায়।

পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে। ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সারা দেশে সরকারি আমলারা এক নজিরবিহীন সম্মেলন করেন। ভাস্কর্যের স্থানে মুজিব মিনার করার দাবি জানায় ঐ দলগুলো।

কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে ভাস্কর্য তৈরির পক্ষেই অনড় অবস্থানে দেখা যায়।

এক পর্যায়ে প্রথমবারের মত বেশ কিছু ইসলামী চিন্তাবিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা যাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন “সংবিধানের বাইরে যাবো না, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবো না। মিনার নাকি ভাস্কর্য সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। ২০২০ সালে ঘটনাগুলোর মধ্যে ভাস্কর্য ইস্যু এখনো একটা চলমান বিষয়। আরো বৈঠক হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print