
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক সাবেক এমপি নজরুল ইসলামের বাড়ির চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাসান।
গত (২৮ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে তিনি উপস্থিত থেকে রাস্তার উপর দেয়াল নির্মাণ করে দেয়ার পর চলাচল বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে সাবেক এমপির নজরুল ইসলামের বাড়ির রাস্তা বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, পটিয়া পৌরসদরে অবস্থিত উপজেলা ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাবেক এমপি নজরুল ইসলামের বাড়ি। গুরুত্ব বিবেচনায় বাড়ির বাসিন্দাদের জন্য মরহুম আব্দুর রহমান সড়কটি নির্মাণ করেন পটিয়া পৌরসভা। ওই সড়ক দিয়ে এলাকার ২শ’ পরিবারের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। সড়কটি গত তিনমাস পূর্বে পটিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে।
স্থানীয়রা জানান, পটিয়ার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে রাস্তার প্রবেশের মাঝখানে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে দেয়। এ কারণে যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়।
তারা আরো জানান, হঠাৎ করে দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা ও পৌরকর্তৃপক্ষের সিসি ঢালাইয়ের উপর দেয়াল নির্মাণ করে দেয় এসিল্যান্ড অফিস।এতে চলাচলের পথে স্থানীয়রা মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখিন হয়। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপিকে জানানো হয়। পরে পৌর মেয়রকে জানানো হয়। উভয়ে এসিল্যান্ডকে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়াল নির্মাণ না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এসিল্যান্ড এমপি ও মেয়রের অনুরোধও রাখেননি। তাই এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানান, পটিয়া কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় জনস্বার্থে রাস্তাটি সিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা হয়। এতে কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। রাস্তা বøক করে দেয়ার সময় এসিল্যান্ডকে আমি নিজে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ফোন করে রাস্তা বন্ধ না করার অনুরোধ করার পরও তিনি কথা রাখেননি। এ বিষয়ে স্থানীয়দের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
পটিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাসান জানান, রাস্তাটি আগে পুকুর পাড় ছিল। রাস্তাটির একাংশের মালিক এসিল্যান্ড অফিস। পৌরসভা রাস্তাটি নির্মাণ করার সময় জনস্বার্থ বিবেচনায় বাঁধা দেয়নি।
সম্প্রতি এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূমি মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি সড়ক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে আমার যোগসাজশে সরকারি সম্পত্তি বেহাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এরপর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাস্তাটির চলাচল বন্ধ করে দেই।