
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী বলেছেন, চসিক নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে পুলিশকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করার কথা থাকলেও অতিউৎসাহী বেশ কিছু সদস্য এলাকায় এলকায় বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে।নির্বাচন বানচাল করার জন্য আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। গত দুই-তিনদিন ধরে পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কালুরঘাট পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে পুলিশ। অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীসহ দায়িত্বশীল নেতাকর্মীকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি কার্যালয়ে যুবলীগ ছাত্রলীগের হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সরকারি দল ও পুলিশের শত উস্কানি সত্বেও বিএনপি নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যাবে না। আওয়ামী লীগ একটি অগণতান্ত্রিক দল। তাদের তাবেদার নির্বাচন কমিশনের কাছে কখনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। তারপরও দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। কারণ বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী সংস্কৃতি বিলুপ্ত করে ফেলবে।
তিনি বলেন, আগামী যে কয়দিন আছে, সেই দিনগুলো কীভাবে কাটবে তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। গতকালও নাসিমন ভবনস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তাদের ক্যাম্প তারা ভেঙে ইস্যু তৈরি করে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা করেছে। যেখানে নেতাকর্মীরা অনুপস্থিত, সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবারকে হেনস্থা করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। সেটি না করে তারা নির্বাচনী কাজকে বাধাগ্রস্থ করছে। তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যাতে মানুষ নির্বাচনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, ভোটকেন্দ্রে না যায়। গেলেও তাদের নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় পুরো নির্বাচন চলে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নির্বাচনের তো কোনো প্রয়োজন নেই। আমীর খসরু চৌধুরী পুলিশকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানসহ নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।
উপস্থিত ছিলেন-মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য আলহাজ এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম।