
চসিক নির্বাচনে প্রচারণায় বাধাসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও পুলিশী অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের হয়রানী এবং সরকার দলীয় প্রার্থীর আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাতের সমর্থনে গঠিত নাগরিক ঐক্য পরিষদের ইসিতে অভিযোগ দেয়ার পরপরই পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতৃবৃন্দ। এসময় ৫ কর্মীকে চকবাজার থানায় আটক করে নিয়ে যায়। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে নাগরিক ঐক্যের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানের স্টাফ অফিসার মোহাম্মদ বেদারুল ইসলামের নিকট একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তাঁর সাক্ষরিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে বিএনপির নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এজেন্টদের বিনাকারণে গ্রেফতার করছে পুলিশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক পদে বহাল থেকেও নৌকার প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন খোরশেদ আলম সুজন।
অভিযোগে বলা হয়-সরকার দলীয় প্রার্থী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। সরকারের এমপি মন্ত্রীরা নগরীর বিভিন্ন হোটেলে এসে বৈঠক করছে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে। এভাবে নির্বাচনের নামে নির্যাতন সহ্য করা হবে না। পুলিশ দিয়ে বাড়ীবাড়ী গিয়ে সীমাহীন হয়রানি থেকে পালিয়ে পালিয়ে নির্বাচন করা যায় না। নির্বাচনে ইভিএম মেশিনে ব্যবহৃত মেমোরি কার্ডের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে তিনি জোর দাবী জানান।
চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক আহম্মদ খলিল খান, নিপার চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুল হক, সৌরভ প্রিয় পালের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়ার কয়েকঘন্টা পরপরই সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ঃ৩০ ঘটিকার সময় চকবাজার থানার একটা টিম চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের চট্টেশ্বরী অফিসে গিয়ে পাঁচ জনকে আটক করে। পরে চকবাজার থানায় নিয়ে গিয়ে আটককৃতদের প্রাথমিক জিগ্যেসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।