
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের অদূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে “এফভি যানযাবিল” নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ৪ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৯ জেলে।
কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার আমিরুল হক জানান, শনিবার ভোরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পশ্চিম হতে ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ২৬ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে “এফভি যানযাবিল” নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ২৬ জন জেলের মধ্যে ১৩ জন জেলেকে অন্য একটি মাছ ধরার ট্রলারেরর সহযোগিতায় উদ্ধার করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। শনিবার সকালে কোস্টগার্ড জাহাজ বিসিজি এস শ্যামল বাংলা ঘটনাস্থলে পৌছায়। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ৯ জেলে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জাহাজ শ্যামল বাংলা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া চার লাশের পরিচয় হলো মো. ইসমাইল (বাড়ি নোয়াখালী), সালাম গাজী (বাড়ি গোপালগঞ্জ, রফিকুল ইসলাম নাছির ও শাহ জামাল নামে বাকি দুজনের বাড়ি ভোলা জেলায় বলে মন্তব্য করেছেন।
২৪ জানুয়ারি সকালে চারজনের লাশ চট্টগ্রাম সদরঘাটে পৌঁছলে মানুষের ঢল নামে তাদের দেখতে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশগুলো তাদের প্রত্যেকের গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন জাহাজের মালিক মোহাম্মদ আলী।
জাহাজের মালিক কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, শনিবার সকালে হঠাৎ ঘন কুয়াশায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হলে জাহাজটি ডুবে যায় বলে তিনি খবর পান। জাহাজটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থেকে এক সপ্তাহ আগে সাগরে গিয়েছিল। মাছ ধরার ওই জাহাজে ২৬ জন শ্রমিক ছিলেন।
কোস্টগার্ডের ঢাকা অফিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হকের বরাতে জানা গেছে, মাছ ধরার জাহাজ ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪ লাশসহ ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জাহাজের মালিকপক্ষ সূত্র জানায়, আজ ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এফভি যানযাবিল নামের মাছ ধরার জাহাজটি ডুবে যায়। ওই সময় আশপাশের অন্য মাছ ধরার জাহাজ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। পরে কোস্টগার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নামে।