ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মাস্তান সন্ত্রাসী আর অতিউৎসাহি পুলিশের কর্মকর্তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

নির্বাচনের আগের কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে অভিযোগ করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মাস্তান, সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী আর পুলিশের অতিউৎসাহি কিছু কর্মকর্তা পরিকল্পিতভাবে হামলা মামলা গ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের ৬৯ জন নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। এখনও বাসায় বাসায় তল্লাশী এবং ধরপাকড় অব্যাহত আছে।

চসিক নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুরে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ড: শাহাদাত বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত আমাদের ৪৯ নেতাকর্মীকে তুলে নিয়ে গেছে। আজ আমার কাছে আরও ২০ জনের লিস্ট আছে যাদের আটক করা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা হয়েছে। গত ১৯ তারিখ থেকে এই মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে। পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার রাতে বাকলিয়া থানায় মহিলাদল নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম ও তার ছেলেকে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। রাত দেড়টায় তাদের থানা থেকে মুক্ত করেছি।

নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, এখন ভোটের কালচার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মানুষের আর ভোটের ওপর আস্থা নেই, যার প্রেক্ষিতে গত মার্চ থেকে আমরা দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। নির্বাচন বিমুখ মানুষদের আবার ভোট কেন্দ্রে আনার চেষ্টা করেছি। গত ১০ মাস করোনার সময়েও মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য। অথচ নির্বাচনের ঠিক দুইদিন আগে মাস্তান, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করার পাঁয়তারা চলছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী ুলিশের দ্বারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা চেয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আপনারা ইতোপ‚র্বে দেখেছেন যে ইভিএমে ভোট হলে একটি দলের সন্ত্রাসী, মাস্তানেরা ইভিএমের পাশে থেকে গার্ড দেয়। তাদের ইচ্ছামতো ভোট দিতে বলে। এজেন্ট বের করে দেয়। আমরা এর আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ৯ দফা দাবি দিয়েছি। তাতে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি যে, যেহেতু এজেন্টরা নির্বাচনের অংশ, তাই ভোটের দিন তাদের যেন সুরক্ষা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের তালিকা নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান সেখানে তিনি প্রায় অধঘন্টা অবস্থান করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রিয় সদস্য মীর মো. হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, চাকসু ভিপি নাজিম, এস এম সাইফুল, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এম এ হাসেম রাজু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ

রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু

ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে চট্টগ্রামে হেফাজতের বিক্ষোভ

মিরপুরে বহুতল ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর মিরপুরে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট

চট্টগ্রাম বন্দর ও কর্ণফূলী নদীতে যৌথ অগ্নিনির্বাপণ মহড়া

আগামী নির্বাচনে বডি ক্যামেরা, সিসিটিভি ও ড্রোন ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার

চুয়েটে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে শিক্ষার্থী বহিষ্কার

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print