
চসিক নির্বচনে ভোট চলাকালে খুলশী থানার ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসুফ স্কুল আওয়ামীলীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সির প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সর্মথকরা সংঘর্ষে গুলিতে মো. আলাউদ্দিন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে পাঁচজন আহত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ প্রার্থী ওয়াসিম ও বিদ্রোহী মাহামুদুর সমর্থকদের এ সংঘর্ষের পর মাহামুদুর সমর্থকরা ওয়ালের্স এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে।
আজ বুধবার সকাল সাগে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়। নিহত আলাউদ্দিন কুমিল্লা জেলার মৃত সোলতান মিয়ার ছেলে। নগরীর আমবাগান এলাকায় তার বাসা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেপ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পথচারী আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় দু’পক্ষের গোলাগুলিতে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক হামিদুর রহমান বলেন, সকালে আমবাগান থেকে নির্বাচনি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালে আনা হলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আরও ৫ জন আহত হয়েছে।
এদিকে লালখান বাজার চানমারি রোডের শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল পৌনে ৯টা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়।
এ সময় হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় দুই পক্ষ। কাচের বোতল, ইটপাটকেল ছোড়া হয় এলোপাতাড়ি। পরে বিজিবি-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসেময় বেশ কয়েকটি ককেটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এছাড়া দামপাড়া পুলিশ লাইন কেন্দ্রেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের সমর্থক শহীদুল ইসলাম শহীদ।
আগে সকাল সাড়ে ৭টায় পাহাড়তলী ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী প্রার্থী নুরুল আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের সমর্থক দুই ভাইয়ের বিরোধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোটভাই নিজাম উদ্দিন মুন্না খুন হয়েছে।