
তৃতীয় দফায় আরও তিন হাজার রোহিঙ্গা যাচ্ছে ভাসানচর যাচ্ছে।
তার অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নৌ-ঘাট থেকে ১ হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌ-বাহিনীর একটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের জাহাজে তোলার কার্যক্রম শুরু হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা জানান, পতেঙ্গা নৌ-ঘাট থেকে ১ হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে নৌ-বাহিনীর জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।তি নিতি বলেন, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) আরও প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) এসব রোহিঙ্গাকে ক্যাম্প হতে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়। পরে সেখানে তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে বাসযোগে নগরীর বিএফ শাহীন কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ১৬৪২জন এবং ২৯ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ১৮০৪ জনসহ মোট ৩৪৪৭জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্বাবধানে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সর্বাধিক নিরাপদ ও আধুনিক সূযোগ সুবিধা সম্পন্ন অস্থায়ী আশ্রয় শিবির নির্মাণ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আগত প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে আধুনিক ও নিরাপদ বাসস্থান পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান।
ভাসানচর রোহিঙ্গাদের জন্য সবদিকে নিরাপদ বিধায় উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এরপর অনেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। গত ৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা স্থানান্তরিত হয়।