ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাটহাজারী মারকাযুল মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটুনীর ভিডিও ভাইরাল, শিক্ষক আটক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি’ নামে হাফেজি মাদ্রাসার আট বছরের এক আবাসিক ছাত্রকে অমানবিক ভাবে বেধড়ক পিটুনির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রশাসর ও শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইয়াহিয়াকে পুলিশ আটক করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পৌরসভার কনক কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিমে ‘আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি’তে শিশুটির উপর শাররীক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র মোঃ ইয়াসিন ফরহাদ (০৮)কে দেখতে  মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তার মা মাদ্রাসায় যান।  মা চলে যাওয়ার সময় মায়ের পিছনে দৌড় দিয়েছিল শিশুটি।  সেই অপরাধে তাকে ঘাড়ে ধরে টেনে এনে মাদ্রাসার ফ্লোরে ফেলে বেত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক। মারধরের একটি ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

ছাত্রটিকে উদ্ধার করে বাসায় পৌছে দেন ইউএনও রুহুল আমিন।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নির্যাতনের ভিডিও দেখে তাৎক্ষনিকভাবে মাদ্রাসায় ছুটে যান হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। তিনি দ্রুত মাদ্রাসা হতে ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। একই সময়ে মাওলানা ইয়াহিয়া নামের পাষন্ড ওই শিক্ষককে হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। পরে হাটহাজারী থানা পুলিশ ঐ শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ইউএনও রুহুল আমিন জানান, মারধরের ঘটনা জানার পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ নিয়ে ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়াকে আটক করে নিয়ে আসি। একই সঙ্গে শিশুটির মা-বাবাকেও খবর দিই।

শিশুটির মা পারভীন আকতার ও বাবা মোঃ জয়নাল ইউএনওকে লিখিতভাবে জানান, তিনি এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন। তবে শিশুর ভবিষ্যৎ বিবেচনায় ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। শিশুটির বাবা মোঃ জয়নাল বলেন, তাঁরা মামলা করতে চান না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের ওপর কোনো চাপ নেই।

ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তিনি শিশুটির মা-বাবাকে অনুরোধ করেছেন তিনি। কিন্তু শিশুটির মা-বাবা ওই রাতে প্রাথমিকভাবে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাঁকে হাটহাজারীর কোনো মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

ইউএনও রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার ছিল শিশুটির জন্মদিন। শিশুটির মানষিক অবস্থা ভাল করার জন্য তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জন্মদিনের উপহার দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই শিশুকে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কাছে দেয়া হয়েছে এবং আজ বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।  এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print