
পারিবারিক কলহের জেরে রাজধানীর পল্লবীতে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী উমামা বেগম কনক (৪৫)। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. ওমর ফারুককে (৫২) আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
ডিওএইচএসের ৪ নম্বর এভিনিউয়ের ৪ নম্বর রোডের ৭৩/৭৫ নম্বর অ্যাপার্টমেন্টের ডি/৩ নম্বর ফ্ল্যাটে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কনক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সদস্য এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী। তার স্বামী ওমর ফারুক অনেকদিন ধরেই প্রবাসে ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, করোনাকালে স্বামী কিছু না করার কারণেই এ দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। আর সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
পুলিশ আরও জানায়, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওমর ফারুক তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৪ এপ্রিল) ভোরে মারা যান আওয়ামী লীগ নেত্রী কনক।
পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, বছর কয়েক আগে ওমর ফারুক জাপান থেকে ফিরে আসেন। ডিওএইচএসের ওই ফ্ল্যাটটি স্ত্রীসহ তার নিজের নামে সমহারে মালিকানায় কিনেন। এর মধ্যে স্ত্রী তার কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে অন্য আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে ব্যবসার নামে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ব্যবসায় ক্ষতির কথা জানিয়ে টাকা আর ফেরত দেননি। এ নিয়েও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হয়।
এর মধ্যে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ওমর ফারুক তার স্ত্রীকে ফ্ল্যাটের অংশ তার নামে লিখে দিতে বলেন। কনা তাতে স্বায় না দেওয়ায় ফারুক রান্নাঘর থেকে বটি এনে স্ত্রীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করেন।
পরে স্বজনরা গুরুতর আহত কনককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে রাতেই তিনি মারা যান। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে বড় মেয়েটি ইংলিশ মাধ্যমে পড়াশোনা করে।