ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে ব্যাচেলর বাসায় ভাবিকে হত্যার পর পালিয়েছে দেবর

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

khunচট্টগ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় নিয়ে আপন বড় ভাবিকে হত্যা করেছে দেবর মহিউদ্দিন। ঘটনার পর থেকে পালাতক রয়েছে প্রেমিক দেবর মহিউদ্দিন।

মঙ্গলবার রাতে নগরীর ইপিজেড থানা পুলিশ নিহত ভাবীর লাশ উদ্ধারের পর আজ বুধবার দুপুরে নিলুফা ইয়াসমিন (২৮) নামে এ নারীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাঁশখালির নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে স্বজনরা।

নিহত নিলুফার ইয়াসমিন বাশঁখালি উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের মৃত্যু সোলাইমানের মেয়ে।

বিলম্বে পাওয়া খবরে জানাগেছে, মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলাস্থ নসিউল আলম ভবনের নীচতলায় একটি ব্যাচেলর বাসা থেকে অজ্ঞাত নারী (২৮) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।

সিএমপি’র ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানায়, ইপিজেড বন্দরটিলা এলাকায় কয়েকজন গার্মেন্টস শ্রমিক একটি ব্যাচেলর বাসায় থাকে। তাদেরই একজনের বন্ধু বাঁশখালি এলাকার মহিউদ্দিন (৩০)। সোমবার মহিউদ্দিন তার বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় রাত যাপন করে। সকালে বাসার লোকজন তালা মেরে কর্মস্থলে চলে যেতে চাইলে মহিউদ্দিন আরো কিছুক্ষণ ঘুমানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে চাবি রেখে দেয়।

বাসার বসবাসকারীদের বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, বাসার সবাই যার যার কর্মস্থলে চলে যাবার পর মহিউদ্দিন তার প্রেমিক বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ফোন করে সে বাসায় নিয়ে যায় এবং তারা দুজন সেখানে তারা সারাদিন অবস্থান করে। এদিকে সন্ধ্যায় মহিউদ্দিনের সে বন্ধু চাকুরী থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখে বাসার বাইরে থেকে তারা দেয়া। সে মহিউদ্দিনকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পায়।

নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিউদ্দিনের সে বন্ধু জানায়, ফোন বন্ধ পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আমি আবার আমার রুমমেটের কারখানায় গিয়ে তার কাছে থাকা আরেকটি চাবি এনে রুম খুলে দেখি ফ্লোরে এক মহিলার লাশ পড়ে আছে।

তাৎক্ষনিক আমি এলাকার লোকজন এবং বাড়ীর জমিদারকে ঘটনা জানালে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পরে থানায় খবর দিলে রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইপিজেড থানার এসআই শওকত আলী জানান, মহিউদ্দিনের সাথে তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিনের দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিলো। তারা মিলিত হওয়ার জন্য বন্ধুর ব্যাচেলার বাসা বেচে নেয়। কোন কারণে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় মহিলাকে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যায় মহিউদ্দিন। আমরা তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মহিউদ্দিন বাশঁখালি উপজেলার দক্ষিণ বরুমছড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র।

এ ঘটনায় নিহতের নিলুফার ইয়াসমিনের ছোট ভাই মোসলেম উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print