
পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে করা মিতু হত্যাকাণ্ডের মামলায় আদালতে ৫২৭ পৃষ্ঠার ফাইন্যাল রিপোর্ট দিয়েছে পিবিআই। যা এখনও আদালত কর্তৃক শুনানী হয়নি। কিন্তু তার আগেই ইতিমধ্যে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে পাঁচলাইশ থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে নতুন হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে করে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি আইনি জটিলতার সৃষ্টি হবে পারে বলে মনে করছেন সিনিয়র আইনজীবি ও মানবাধিকার নেতা এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে কি পিবিআই বাবুল আক্তার এর সম্পৃক্ততা পেয়েছে?তাহলে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো না কেন? চুড়ান্ত প্রতিবেদনের পরেও সাবল্লিমেন্টারী বা সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা যায়। কিন্তু একই ঘটনায় দূটি এফআইআর কেমনে হয়? আগের মামলাটিও এখনও চলমান আছে। চুড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিলের আগে পাবলিক প্রসিকিউটরের মতামত নেয়া হয়েছে কিনা? রিপোর্টটি আদালত এখনও গ্রহন করেনি।
তিনি বলেন-অধিকতর তদন্তও হতে পারে। বাবুল আক্তার আইনজীবী মারফত নারাজি দাখিল করলে নতুন মামলাটি স্থগিত হয়ে যাবে। এজন্যেই একই ঘটনার দু’টো এজাহার আইনী জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। একে আইনের ভাষায় বলে রেজজুডিকাটা।
এ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব বলেন-বাবুল এর মামলায় তদন্ত যে দুই জন বন্ধু সাক্ষী পেয়েছে তাদের উপর ভিত্তি করে বাবুলকে তার মামলায় বাদীর স্হলে আসামী করা যেত এখন বাবুলের তদন্তের সাক্ষী কথা শুনে শ্বশুর এসে নতুন মামলা আইনগত জটিলতা সৃষ্ট হবে।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখনও আদালতে গৃহীত হয়নি। আদালত পূনঃতদন্তেও দিতে পারেন। একটি মামলা বহাল থাকাবস্থায় আরেকটা এফআইআর আইনের অপপ্রয়োগ মাত্র। সংবাদদাতা নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা সংবাদ দিলে চার্জ শিটে তার নাম আসবে আসামি হিসেবে, এটাই নিয়ম।
31DLR (SC) 44DLR 83 বলা হয়ছে ঘটনা সংক্রান্ত যদি GDE entry হয়ে থাকে সেটা FIR হিসাবে treat হবে subsequently FIR করলে তাহা ১৬১ / ১৬২ আওতায় আসবে। 12 BLC এবং 53DLR উল্লেখ করা হয়েছে ফৌজদারী মামলায় 2nd FIR বলতে কিছুই নাই তার উপর ভিত্তি করে কোন তদন্ত হলে তাহা বেআইনী। ঐ সিদ্ধানত গুলিতে বলা হয়েছে FIR means information at the earliest point of time. সংবাদদাতা কে তার মামলায় আসামী করে C/S দিয়েছে এই রকম নজীর ও আমাদের দেশে আছে।