
মহানগরীর পাহাড়তলীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাহাড়তলী রেলক্রসিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি ছোরা, ১টি বোল্ড কাটার, ১টি শাবল, ১টি প্লাস, ১টি নোস প্লাস, ১টি লোহার হাতল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— নাঙ্গলকোট থানার তেলাচোরা পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩১), একই এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. আবুল কালাম সোহেল (৩২)। একই থানার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত অলি মিয়া প্রকাশ লেদু মিস্ত্রীর ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৪২), কুমিল্লা মুরাদনগর থানার কুরেরপাড় এলাকার মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০), এবং আকবরশাহ থানার মাস্টার লেইন এলাকার শওকত আলির ছেলে মো.রিপন (৩১)।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলাতে জেলাতে ঘুরে গরু চুরি তাদের পেশা। গরু চুরির পাশাপাশি ডাকাতি কাজে ব্যবহার করতো বিভিন্ন অস্ত্র। তাদের নামে চট্টগ্রামসহ আশে পাশে থানাতে ডাকাতির মামলা রয়েছে। পাহাড়তলী এলাকাতে তারা দলবল নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় ডাকাতির সরঞ্জামসহ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, পিকআপ যোগে বিভিন্ন জেলায় গরু চুরি ও ডাকাতি তাদের পেশা। গত এক মাসে তারা জোরারগঞ্জ থানা এলাকা, ফকিরহাটসহ আরো বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক গরু চুরি ও ডাকাতি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে। নগরে ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র নিয়া সজ্জিত হয়ে পিকআপ যোগে যাওয়ার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় ২টি, কুমিল্লার লাঙ্গলকলট থানায় ৪ টি, লক্ষীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১ টি, চৌদ্দগ্রাম থানায় ১টি মামলা রয়েছে। মো. আবুল কালামের বিরুদ্ধে মিরসরাই ও কুমিল্লায় রয়েছে মাদক ও ডাকাতির তিনটি পৃথক মামলা। এছাড়া মো. বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লা ও ফেনী সদর থানায় রয়েছে ৩ টি পৃথক ডাকাতির মামলা।