
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৬ জন নেতা-কর্মীর সম্পদের তথ্য চেয়ে ব্যাংকসহ সরকারের চারটি দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের তথ্য ছাড়াও ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও পটিয়া থানার ভূমি বিভাগের সহকারী কমিশনার এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদকের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ভূমি বিভাগের সহকারী কমিশনার ও ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রারকে পাঠানো চিঠিতে হেফাজত নেতাদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমির দাগ, খতিয়ানসহ নথি চাওয়া হয়েছে। আর বিএফআইইউ-এর প্রধানকে পাঠানো চিঠিতে সবার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছে।
গত ১৭ মে হেফাজতে ইসলামের নেতা বাবুনগরী, মামুনুলসহ অর্ধশত নেতাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। বিশেষ অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, মো. সাইদুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান।
এরই মধ্যে বিলুপ্ত হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকার লেনদেন, মানি লন্ডারিং ও নানা সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
যেসব হেফাজত নেতার সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক, তারা হলেন- হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত কমিটির আমীর জুনায়েদ বাবুনগরী, বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আহমেদ আবদুল কাদের ও মাহফুজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিব, মামুনুল হক, নাসির উদ্দিন মনির, জালাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহীনুর পাশা চৌধুরী, সহকারী মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী ও আজাহারুল ইসলাম, মুসা বিন ইসহাক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন ও সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস, সহকারী অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারুন ইজাহার, সহকারী আন্তর্জাতিক সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ, সহকারী প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম কাসেমী, ইসলামি বক্তা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, নুর হোসাইন নুরানী, মাহমুদুল হাসান গুনবী, বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইনামুল হাসান ফারুকী, কেন্দ্রীয় নেতা জাকারিয়া নোমান, আজহারুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কাসেমী।
এ ছাড়া সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব আবদুর রহিম কাসেমী, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মুহসিনুল করিম, জামিয়া ইসলামিয়া হলিমিয়া মধুপুর মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামীম ওবায়দুল্লাহ কাসেমী, মধুপুরের পীরের ছেলে আবু আম্মার আবদুল্লাহ, হেফাজতের কর্মী মো. আহম্মেদ কাশেমী, এহসানুল হক, রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সাধারণ সম্পাদক হাসান জামিল, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি খলিলুর রহমান মাদানি, মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নাতি আশরাফ উদ্দিন মাহদি, মোহাম্মদ উল্লাহ জামি, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ আকরাম আলী, শামসুল উলুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সদস্য কেফায়েত উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন ও সামছুল ইসলাম জিলানী, গাজী ইয়াকুব ওসমানী, আসাদুল্লাহ আসাদ, আলী হাসান উসামা ও আসাদুল্লাহ অসাদের।