
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প (পজীপ) কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানের স্ত্রীকে সরকারি কোয়াটারের ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে মামলা করার অপরাধে এবার সরকারী কর্মকর্তার ওপর হামলা চালিয়েছে বোয়ালখালী পৌরসভার যুবলীগের সহ-সভাপতি (বহিস্কৃত) এসএম মোরশেদুল আলম জনি।
জানাগেছে, গত বছরের ৫মার্চ ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির সময় ঘটনাস্থল থেকে জনিকে আটক করেছিল পুলিশ। এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানায় জনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন পজীপ কর্মকর্তার স্ত্রী। ওই সময় জনিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই জামিনে থাকা জনি গতকাল শনিবার (২৯ মে) রাত ৯টার দিকে পানি না ওঠায় মোটর দেখতে ব্যাচেলর ডরমেটরীতে আসা পজীপ কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানকে আক্রমণ করে আহত করেছে।
আহত মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘রাতে ব্যাচেলর ডরমেটরীতে যাওয়ার সাথে সাথেই আগে থেকে অবস্থানে থাকা জনি অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে। এতে ভয় পেয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাসা ঢুকে পড়ি। এর প্রায় ৪০ মিনিট পরে বাসায় ফেরার পথে জনি ‘ পুরুষের জন্য জেল ফাঁসি’ বলে অর্তকিতভাবে ইট দিয়ে মাথা আঘাত করে ও ছুড়িকাঘাত করে। আহত অবস্থায়ও সে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। এ সময় উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে তার হাত থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
তিনি বলেন, গত বছর জনির বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালিয়েছে। এর আগেও জামিনে থাকা জনি বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ অকথ্য ভাষা গালিগালাজ ও হুমকী দিতো।
এসএম মোরশেদুল আলম জনি (৩০) বোয়ালখালী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের এসএম ফরিদের ছেলে। সে পৌরসভা যুবলীগের সহ-সভাপতি। তবে গত বছরের ৫ মার্চ পজীপ কর্মকর্তার স্ত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি তাকে পৌরসভা যুবলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করেছেন বলে জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় জনির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম।