
সরকারের অযোগ্যতার কারণে লকডাউন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে তামাশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে সরকারের দায়িত্বহীনতা, অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির কারণে পুরো কার্যক্রম ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে কোনো পরিকল্পিত ও কার্যকরী রোড ম্যাপ তৈরী করতে পারেনি সরকার। প্রকৃতপক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের কোনো সুপরিকল্পিত কর্মসূচিও নেই। চট্টগ্রামে ইতিমধ্যে করোনা রোগির সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় আমলানির্ভর সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের শতাধিক চিকিৎসককে একযোগে বদলির সিদ্ধান্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো নাজুক অবস্তায় নিয়ে যাবে। এতে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে। চট্টগ্রামবাসী চরম স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। ইতোমধ্যে সরকার আবারো লকডাউন ঘোষণা করেছে। সরকারের অযোগ্যতার কারণে লকডাউন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যা এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে।

তিনি আজ বুুধবার (৭ জুলাই) বিকালে নগরীর মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগন্জ ও পাঁচলাইশ থানা এলাকায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাব চট্টগ্রাম শাখার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরনকালে এসব মন্তব্য করেন। এর আগে কাতালগন্জ জামে মসজিদে ড্যাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি মরহুম ডা. গোলাম মর্তুজা হারুনের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে রোগীর চাপে সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় দেখা দিয়েছে জরুরি চিকিৎসা উপকরণ এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সঙ্কট। এছাড়াও আইসিইউ বেড, ন্যাজল ক্যানুলা, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অক্সিজেন সিলিন্ডারের পরিমান অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। জেলা হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি সব থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তিনি সুচিকিৎসার স্বার্থে অবিলম্বে সমন্বিত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। চরম অযোগ্যতা এবং দুর্নীতি প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পকে শুধুমাত্র লুটপাটের ক্ষেত্র পরিণত করা হয়েছে। প্রণোদনা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ভ্যাকসিন সংগ্রহ এবং বিতরণে চরম অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং অযোগ্যতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ঢাকা ও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসীম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দীন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আবদুর রশীদ দৌলতী, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাবাব ইয়াজদানী প্রমূখ।