
আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার সারাদেশে পালিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এবারের ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৯৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২০০ ইউনিয়নের ৪ হাজার ৮৬১ টিকাকেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবার ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১ লাখ আইইউ মাত্রার একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ২ লাখ আইইউ মাত্রার একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি জানান, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে ৩৫ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৬৫ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৬৭৯ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও ১৪ হাজার ৫৮৩ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবে।
শিশুদের ভরাপেটে টিকাদান কেন্দ্রে আনার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, শিশুর শারীরিক ও মস্তিষ্কের বিকাশে ভিটামিন এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্য ভিটামিন এ উপকারী। সবুজ রঙের শাকসবজি, রঙিন সবজি যেমন গাজর, মিষ্টিকুমড়া, শালগম এবং লাল-হলুদ ফলে উদ্ভিজ্জ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। সরকার ভিটামিন এ যুক্ত ভোজ্যতেল বাজারজাত করা বাধ্যতামূলক করেছে।
তিনি বলেন, কান্নারত শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ালে ফুসফুসে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কান্না থামলেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিভাবকদের হাতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে ক্যাপসুলটি বাসায় কাটার সময় জীবাণুযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।