ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মিতু হত্যা: পিবিআই’র চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

চট্টগ্রামে সাবেক এসপি বাবুল আক্তারে স্ত্রী মাহমুদ খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। একইসঙ্গে বাদী বাবুল আক্তারের নারাজির আবেদনও খারিজ করা হয়েছে। মামলাটি ফের অধিকতর তদন্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। ২৭ অক্টোবর মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে আবেদনটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ৩ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। তবে আজ আদেশের নির্ধারিত দিনে আদালত নারাজি আবেদন খারিজ করেন এবং পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

জানাগেছে, গত ১৪ অক্টোবর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটি করেন বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তখন তিনি বলেছিলেন, আদালত ২৭ অক্টোবর বাবুল আক্তারের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।

নারাজি আবেদনে বলা হয়েছিল, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী আরও বলেন, প্রথম মামলার কেস ডকেটে বেশ কয়েকজন সাক্ষীর কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদৌ তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং তারা কি বলেছেন, তার কিছুই কেস ডকেটে নেই। ওই নথি তলবের জন্য ২৭ অক্টোবর আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত সেটি খারিজ করেছেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো।

আলোচিত মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

ওইদিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। তিনি সে মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print