
মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা জানিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল। রাত ১২টা ১ মিনিটে নগর পুলিশের একটা চৌকস দল সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ।

শুরুতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তার পরে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যান ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এরপর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের নিয়ে কর্পোরেশনের পক্ষে শহীদ বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পন করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। একই সাথে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছিরে নেতৃতে ফুল দেন।
পরে একের পর এক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিভাগীয় কমিশনার মো.রহুল আমিন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূর ই আলম মিনা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করের নেতুত্বে বিএনপি যুবদল ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অপন করেন দলের নেতাকর্মীরা। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরকমান্ডার মো.সাহাবউদ্দিন ও মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোজাফফর আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পৃথকভাবে শহীদ মিনারে ফুল দেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনারে দড়িয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন।
এদিকে রাত থেকে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিজয় দিবসের রাতে ১০ টার পর শহীদ মিনার এলাকায় আড়াই শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর দিয়ে যারা শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসেছে তাদের চেক করা হয়।