
বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে এই সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৪জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমএন আবছারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংঘর্ষে পুলিশের এএসআই রাসেল ও কনস্টেবল মাসুদ জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম এন আবছার, বিএনপি নেতা মোমিন আলী, রবিউল, দেলোয়ার, নাছির তালুকদার ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুল আলম আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাতসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের কলেজ রোড এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় শাপলা চত্বরসহ আশপাশের সব সড়কে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরে অবস্থান করা পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আট রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা শহরের মাইনী ভ্যালীস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক দিয়ে ফেরার পথে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের কার্যালয়ের সামনে আসলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জন্য উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
অপরদিকে নিজেদের ৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম। তিনি জানান, জেলা বিএনপি’র বিজয় দিবসের র্যালি থেকে বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ৬ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
পাল্টা অভিযোগ তুলে জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম সমর্থিতরা তাদের কার্যালয় থেকে বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ র্যালিতে হামলা চালিয়ে ৮ নেতাকর্মীকে আহত করে। কিন্তু পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে উল্টো লাঠিচার্জ ও আমাদের দলীয় কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায়।
আটক নেতাকর্মীদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে এমএন আবছার নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের এএসআই রাসেল ও কনস্টেবল মাসুদ আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আট রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।