
চট্টগ্রাম হাটহাজারী থেকে পাচার করা এক কিশোরীকে ঢাকার ফকিরাপুল থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এসময় র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে মাদক পাচারকারী চক্রের তিন সদস্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ২টায় ঢাকার ফকিরাপুল ও গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার সুখান দিঘী গ্রামের মৃত ওসমানের ছেলে মো. নাঈম (২২), রংপুর জেলার পীরগঞ্জের জয়েন্তীপুর গ্রামের ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান নূর (২৭), কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ধোলা গ্রামের মো. সামছু মিয়ার মেয়ে ফাতেমা বেগম (৩০)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ফটিকছড়ির ভূজপুর এলাকার মো. আলম নামের এক ব্যক্তি র্যাব-৭ কার্যালয়ে তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করে। মো. আলম র্যাবকে জানায়, মেয়ে তার বাড়ি থেকে হাটহাজারীর একটি বাসায় গৃহ পরিচারিকার কাজ করতে বের হয়ে বাড়িতে আর ফিরে যায়নি। অনেক খোঁজ নেয়ার পর কোনো খবর না পেয়ে হাটহাজারী থানায়ও একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৭ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার (১৫ডিসেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকার ফকিরাপুল হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তার দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে পরদিন (১৬ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে ঢাকার গাবতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ২ জনকে আটক করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও এক নারীকে আটক করে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ উর্পাজনে কিশোরীদের পাচার করে আসছে মানব পাচারকারীরা।
তিনি জানান, আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ উর্পাজনের জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। তারা মানবপাচারকারীর দলের সক্রিয় সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সহায়তায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সরলতা, দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে তাদের পাচার করে আসছে। আমরা তাদের ৩ জনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।